বাংলাদেশ তার কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত 

প্রকাশ : 2022-09-24 17:50:52১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

বাংলাদেশ তার কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ তার অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করতে প্রস্তুত রয়েছে।তিনি স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন এবং এ ক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন।

শুক্রবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান (জিএপি) মিনিস্ট্রিয়ালের উদ্বোধনী অধিবেশনে ড. মোমেন এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী অতিমারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও মোকাবেলা (পিপিআর)-এর জন্য বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি গঠিত ফিনান্সিয়াল ইন্টারমিডিয়ারি ফান্ড গঠনের উদ্যোগটিকে স্বাগত জানান এবং এ তহবিল কার্যকরভাবে স্বাস্থ্যখাতের চলমান বিভিন্ন বিনিয়োগের সমন্বয়কের ও পরিপূরকের ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এছাড়াও তিনি একটি প্লেবুক তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। যেখানে দেশগুলো ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য হুমকির ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত থাকবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো ও বতসোয়ানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. লেমোগাং কোয়াপে যৌথভাবে কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান মন্ত্রী পর্যায়ের সভা আয়োজন করেন।

যার লক্ষ্য হচ্ছে, কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা বজায় রাখতে ও শক্তিশালী করতে অংশীদারদের একত্র করা।জাপান, সৌদি আরব ও থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বৈঠকে অংশ নেন।

এছাড়া ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ভারত, নরওয়ে, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও এতে যোগ দিয়েছিলেন।এ সময় ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরেন।

এছাড়া, মহামারী চূড়ান্তভাবে মোকাবেলায় অবশিষ্ট পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের স্বাস্থ্য হুমকি প্রতিরোধ করতে আরো উন্নত ও কার্যকরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাঠামো তৈরিতে গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের অংশীদারদের সমন্বিত প্রয়াস চলমান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।