বাংলাদেশে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট

প্রকাশ : 2023-05-03 13:21:48১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

বাংলাদেশে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট

বাংলাদেশে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার [২ মে]মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো একটি রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

মঙ্গলবার নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। সেখানে তিনি বলেন, ‘এবং আমরা [অতীতে] যেমন বলেছি, যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করে এবং সেখানে আমরা কোনো একটি রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামগ্রীকভাবে আমি যা বলব তা হলো- অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে এমন সব বিষয়ে আমাদের বন্ধুদের এবং অংশীদারদের থাকা আগ্রহ সম্পর্কে সৎ কথোপকথন করাকে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ বলে মনে করে না। কারণ এসব বিষয় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে বা [নাও পারে]। একইসঙ্গে এটি আঞ্চলিক উদ্বেগ এবং আঞ্চলিক অগ্রাধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে বা (নাও) করতে পারে।’

প্যাটেল বলেন, বিশ্বের বাকি সব মার্কিন দূতাবাসের মতো ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দূত হিসেবে কাজ করে থাকে।

তিনি বলেন, ‘আপনি গতকাল আমাকে বলতে শুনেছেন– বাংলাদেশ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। এটি এমন একটি দেশ যেটির সাথে আমরা আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী।’

যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছে উল্লেখ করে প্যাটেল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেখানে উভয় দেশ একে অপরের প্রতি সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে পারে। আর সেটি কেবল বাংলাদেশি সরকারের সাথে নয়, বাংলাদেশি জনগণের সাথেও।

এসময় জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীরকরণ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সাথে সম্পর্কিত নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়টি উল্লেখ করেন প্যাটেল।

এক প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, ‘বিশ্বের যেকোনো দেশের কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা যে, নির্বাচন যাতে অবাধে ও সুষ্ঠুভাবে হয় এবং আপনি যেমনটি বলেছেন, নির্বাচন নিরপেক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হোক, আমিও সেটাই যোগ করতে পারি।’

এর আগে গত ১ মে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমরা যা চাই তা হলো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক এবং বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হোক। তবে এটি অভ্যন্তরীণ এবং ঘরোয়া নির্বাচন হওয়ায় এর বাইরে আমার আর বলার কিছু নেই।

বেদান্ত প্যাটেলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আমরা সবাই জানি– যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অন্যতম সমর্থক। আর এই সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এখানে (যুক্তরাষ্ট্র) অবস্থান করছেন। আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টও বাংলাদেশের উন্নয়নে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। আপনি জানেন, বাংলাদেশে শিগগিরই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে একটি দল  অংশগ্রহণ করছে না এবং পরবর্তীতে নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ তুলতে পারে। এ পরিস্থিতিকে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে দেখছে?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, তবে আমি সামগ্রিকভাবে যা বলব, তা হলো– যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ গত বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছে এবং আমরা সেই সম্পর্কগুলোকে আরও গভীর করার জন্য উন্মুখ। আমাদের অনেকগুলো ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে আমাদের প্রচুর সহযোগিতা এবং সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা রয়েছে- তা জলবায়ু পরিবর্তন হোক, অর্থনীতি হোক, মানবিক সংকট মোকাবিলা বা অন্য বিষয় হোক।