বাংলাদেশের চিকিৎসক, স্বাস্থ্য পেশাদারদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে আগ্রহী ডব্লিউএইচও
প্রকাশ : 2024-03-23 11:47:15১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ
চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্য পেশাদারদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত রোগ মোকাবেলা এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ অর্জনেও সহায়তার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
শুক্রবার (২২ মার্চ) ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ডব্লিউএইচও বিশেষ করে চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট পেশাদারদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ প্রদানে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।’
জাতিসংঘের সংস্থাটি বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত রোগ, মানসিক স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী যেমন নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কাজ করবে। যেহেতু বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ, যেকোনো দুর্যোগে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই ডব্লিউএইচও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর জন্য কাজ করবে।
এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত রোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। এর মধ্যে রয়েছে বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট রোগ। মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সংস্থাটি সব প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পেশাদারদের পাঠ্যক্রমে রোগীদের সঙ্গে আচরণ করার ক্ষেত্রে আচরণগত পদ্ধতির মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডব্লিউএইচও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী।’ স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার সরকার সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে এবং ক্লিনিক থেকে নারী ও শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।’
অল্পবয়সী মেয়েরা স্তন ক্যান্সার নিয়ে কথা বলতে লজ্জাবোধ করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী স্তন ক্যান্সার দ্রুত নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়লে রোগটি নিরাময়যোগ্য।’
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক সুগত বসু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।