বর্ষীয়ান গজল সম্রাট ভূপিন্দর সিংয়ের জীবনাবসান
প্রকাশ : 2022-07-19 10:02:19১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
সমকালীন ভারতীয় সংগীত দুনিয়ার কাছে তিনি গজলসম্রাট নামে খ্যাত। অবশ্য গত কয়েক বছর এ দুনিয়া ভূপিন্দর সিংয়ের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। বার্ধক্যজনিত একাধিক সমস্যায় ভুগছিলেন বর্ষীয়ান শিল্পী। সোমবার চিরবিদায় নিলেন গজলশিল্পী ভূপিন্দর সিং। রেখে গেলেন বাংলা, হিন্দি ভাষায় অজস্র গান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। মঙ্গলবার ভূপিন্দর সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানান তাঁর স্ত্রী জনপ্রিয় গায়িকা মিতালি মুখার্জি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ডিএনএ, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যম পারিবারিক সূত্রে খবরটি প্রকাশ করেছে। সোমবার জুহুর হাসপাতালে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন ভূপিন্দর সিং। গজলশিল্পীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া সংগীতজগতে।
জানা গেছে, বেশ কয়েক দিন ধরে রোগে ভুগছিলেন। ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক দীপক নমযোশি জানান, দিন দশেক আগেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ভূপিন্দর সিং। কোলন ক্যানসারে ভুগছিলেন। করোনা টেস্ট করানো হয় প্রবীণ শিল্পীর। দিন পাঁচেক আগেই করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
ভূপিন্দর সিংয়ের জন্ম অমৃতসরে। বাবার কাছেই গানের তালিম শুরু। অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গান করে তাঁর পেশাগত সংগীত জীবনের যাত্রা হয়। দিল্লি দূরদর্শন সেন্টারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন শিল্পী। মিঠুন চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায় অভিনীত ত্রয়ী ছবিতে ভূপিন্দরের গাওয়া, ‘কবে যে কোথায় কী যে হলো ভুল’ আজও এই প্রজন্মের প্রিয়। তাঁর ভারী কণ্ঠস্বরের মিষ্টি সুরে ‘মৌসম’, ‘সত্তে পে সত্তা’, ‘আহিস্তা’, ‘দুরিয়া’ ছবির গান শ্রোতাদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। ‘দিল ঢুনতা হ্যায়’, ‘নাম গুম জায়েগা’, ‘এক আকেলা ইস শহর মে’, ‘বিতি না বিতাই রয়না’-এর মতো জনপ্রিয় বলিউডি গান তাঁর কণ্ঠে শ্রোতারা চিরকাল মনে রাখবেন।
ভূপিন্দর সিংয়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে শোক প্রকাশ করেন ভক্ত, অনুরাগীসহ ভারতীয় সংগীত ও চলচ্চিত্র জগতের অনেকে। পঙ্কজ উদাস লিখেছেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের মতো ছিলেন তিনি। তাঁর গায়নরীতি, কণ্ঠস্বর সবার থেকে আলাদা। আবারও আমাদের এ সংগীত দুনিয়া অভিভাবকহীন হলো। ভারত তার আরও এক কৃতী সন্তানকে হারাল।’
ভূপিন্দর সিংয়ের স্ত্রী মিতালী মুখার্জির জন্মস্থান বাংলাদেশ। তিনি ১৯৮২ সালে ‘দুই পয়সার আলতা’ চলচ্চিত্রে ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’ গানে সংগীত পরিবেশনের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।