বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
প্রকাশ : 2024-08-30 19:59:53১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না। আমরা তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। তার জন্য একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ব্যক্তিগত সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবীর বলেন, শেখ হাসিনা যতক্ষণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে থাকবেন, ততক্ষণ আমিও তার সঙ্গে থাকবো। আমি একজন মুসলমান হিসেবে আল্লাহ ও রাসুল ছাড়া আর কাউকে পরোয়া করি না। আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালোবাসার পরে আমার প্রেম ও ভালোবাসা সমস্তটাই বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে। বঙ্গবন্ধুকে না পেলে আমি একজন রিকশাওয়ালা হতাম, না হয় একজন রাখাল হতাম। বঙ্গবন্ধুকে পেয়ে আমি দেশকে ভালোবাসতে শিখেছি। অনেকেই দেশপ্রেমের কথা বলে কিন্তু দেশপ্রেম এত সহজ নয়। অনেক প্রতিঘাত সহ্য করে দেশপ্রেম অর্জন করতে হয়।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঝড় তুফান আসে আবার কেটেও যায়। কোনো অন্ধকারই চিরস্থায়ী নয়। আকাশ আবার পরিষ্কার হবে। টুঙ্গিপাড়াবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আর জীবনে এখানে আসতে পারবো কিনা জানিনা। আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে এই দুর্যোগপূর্ণ সময়েও বঙ্গবন্ধুর সমাধিকে এতো সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
ভবিষ্যতে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করবেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি খাওয়ার সময় খাই, নামাজের সময় নামাজ পড়ি। আমি আজ টুঙ্গিপাড়া এসেছি আমার রাজনৈতিক পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনা করার জন্য। যখন বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার চেয়েছি তখন সকলেই গর্তে ছিল। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। বিনিময়ে আমি মানুষের কাছে সম্মান পেলেও যাদের কাছে সম্মান পাওয়ার কথা ছিল, তাদের কাছে পায়নি। বরং আমাদেরকে অপমান করা হয়েছে। এই আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ নয়। এটা মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ, গরিব-দুঃখীর আওয়ামী লীগ। সেই আওয়ামী লীগ আর এই আওয়ামী লীগ এক নয়। আমি আগেও বঙ্গবন্ধুর ছিলাম, এখনো বঙ্গবন্ধুর আছি এবং বাকি জীবন তার আদর্শ নিয়েই বেঁচে থাকবো।
এর আগে দুপুরে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সফরসঙ্গী হিসেবে জাতীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ এবং গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।