ফোনালাপে আড়িপাতা রোধে রিটের শুনানি ২ সপ্তাহ পেছালো

প্রকাশ : 2021-08-16 12:10:03১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ফোনালাপে আড়িপাতা রোধে রিটের শুনানি ২ সপ্তাহ পেছালো

ফোনালাপে আড়িপাতা প্রতিরোধের নিশ্চয়তা ও ফাঁস হওয়া ঘটনাগুলোর তদন্ত করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর দুই সপ্তাহ পর শুনানি হবে।  

 রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (১৬ আগস্ট)এ আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। পরে অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির, আড়িপাতার রিট শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল থাকবেন বলে রাষ্ট্র পক্ষ সময় চাওয়ায় দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর আগে ১০ আগস্ট মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভগের সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আগেও আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।  
 
নোটিশ পাঠানোর পর শিশির মনির জানিয়েছিলেন, নোটিশে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংঘটিত১৬ টি আড়িপাতার ঘটনা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সংলাপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোনালাপ, প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসান এর ফোনালাপ উল্লেখযোগ্য। এ সকল আড়িপাতার ঘটনা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বহুল প্রচারিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এছাড়াও ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিকিমিউনিকেশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট ২০০১ প্রণয়ন করা হয়। আইনের ৩০(চ) ধারা অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের একান্ততা রক্ষা নিশ্চিত করা এই কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু এই ধরনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। অথচ, বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কমিশনের দায়িত্ব হলো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

 ১০ আইনজীবী হলেন, অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বনিক, শাহনা বিলাকাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মো. ইবরাহিম খলিল, মুস্তাফিজুর রহমান, জিএম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির।