ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় মাদারীপুরে সাংবাদিকের বাড়িতে বোমা হামলা
প্রকাশ : 2024-05-22 20:57:19১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মাদারীপুরে ফেসবুকে পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকের বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোজনের বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার লক্ষ্মীগঞ্জে এলাকায় সাংবাদিক বেলাল খানের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় বাড়িঘর লুটপাটের অভিযোগ করে ভুক্তভোগির পরিবার।
স্বজনরা জানায়, লক্ষ্মীগঞ্জ গ্রামের আলী কাজীর ছেলে রাকিব কাজীর একটি ইটভাটা নিয়ে সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন দৈনিক ভোরের ডাক ও নিউ এইজ পত্রিকার মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি বেলাল খান। সেখানে তিনি ইটভাটার অনিয়ম নিয়ে লেখালেখি করেন। এরই জেরে বুধবার সকালে রাকিব ও তার দুইভাই রাজীব এবং রায়হান লোকজন নিয়ে সাংবাদিক বেলালের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় কয়েকটি হামবোমা বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। ঘরের ভেতর প্রবেশ করে নগদ টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী লুটপাটেরও অভিযোগ করেন ভুক্তেভোগির পরিবার। পরে পরিবারের লোকজনের চিৎকার-চেচামেচিতে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ সময় ঘরের সামনে অক্ষত একটি হাতবোমা পড়ে থাকতেও দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার বেগম বলেন, হঠাৎ কয়েকটি বোমার আওয়াজ শুনে কাছে ছুটে আসি। আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে কয়েকজন দৌঁড়ে যাচ্ছে। তখন রাকিব কাজী ও রায়হান কাজীসহ ৭-৮ জন লোক ছিল। অনেকের আবার মুখ বাঁধা ছিল। সাংবাদিক বেলাল খানের বাড়িতে এসে পরে সবঘটনা দেখি ও শুনি।
সাংবাদিক বেলাল খানের স্ত্রী নুর নাহার টুলু বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে রাকিব কাজী লোকজন নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। চারদিক থেকে লোকজন এসে ককটেল মেরে আতঙ্ক ছড়ায়। লুটপাটও করে তারা। পরে চিৎকার-চেচামেচি করলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
অভিযুক্ত রাকিব কাজী বলেন, আমার সাথে সাংবাদিকের পরিবারের কোন বিরোধ নেই। কিন্তু বেলাল খান ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের উপর ক’দিন আগে হামলা করেছে। এই হামলায় আমার ভাই হাসপাতালে ভর্তি। পরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।