ফরাসি চিত্রকর হিসাবে পল গোগাঁ বাংলা সাহিত্যে গগন পাল

প্রকাশ : 2023-05-09 12:10:22১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ফরাসি চিত্রকর হিসাবে পল গোগাঁ বাংলা সাহিত্যে গগন পাল

পল গোগাঁ উনিশ শতকের প্রখ্যাত ফরাসি চিত্রকর। ইম্প্রেশোনিজ্‌ম-উত্তর যুগের চিত্রকলায় তিনি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেন। জীবনের শেষ বছরগুলো তিনি তাহিতি সহ প্রশান্ত মহাসাগরের প্রত্যন্ত বিভিন্ন দ্বীপে অতিবাহিত করেন।

তাঁর কাজগুলো ফরাসি অ্যাভান্ট-গার্ডে এবং পাবলো পিকাসো এবং হেনরি ম্যাটিসির মতো অনেক আধুনিক শিল্পীর কাছে প্রভাবশালী ছিল। পল গোগাঁ শিল্প হিসাবে মৃত্যুর পরে জনপ্রিয় হয়েছিল। আংশিকভাবে আর্ট ডিলারয়ের অ্যামব্রয়েস ভোলার্ডের প্রচেষ্টায়। যিনি গোগাঁর কাজের প্রদর্শনী পরিচালনা করেছিলেন এবং প্যারিসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ মরণোত্তর প্রদর্শনীর আয়োজনে সহায়তা করেছিলেন।

চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, প্রিন্ট মেকার, সিরামিস্ট এবং লেখক হিসাবে গোগাঁ প্রতীকবাদী আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর চিত্রগুলিতে যে বিষয়গুলির অন্তর্নিহিত অর্থের প্রকাশ পায়েছে তা পৌরাণিক। তিনি চিত্রগুলো মূলত কাঠের খোদাই করাই প্রধান ছিলো।

১৯০৩ সালে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রচারের সাথে যুক্ত হন। ক্যালভারি নামে একজন তার নামে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন। এরজন্য ১৯০৩ সালের ২ মার্চ ৩ মাসের জন্য গোঁগার কারাদণ্ড হয়। এই সময় পল গোগাঁ অত্যন্ত দুর্বল এবং প্রচন্ড ব্যথায় ছিলেন তারপরে তাকে মরফিন ঔষুধ ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়। ১৯০৩ সালের ৮ ই মে হঠাৎ তাঁর মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পল গঁগ্যাকে চিত্রশিল্পী হিসেবে কেউ সেভাবে মূল্যায়ন করেনি। কিন্তু ১৯০৩ সালে ফরাসি ‘পোস্ট-ইমপ্রেশনিস্ট’ এই শিল্পীর মৃত্যুর পরই তার কদর বেড়ে যায়। ১৮৯২ সালে অমর তৈলচিত্র ‘নাফেয়া ফা ইপোইপো’ (হোয়েন উইল ইউ ম্যারি) ছবিটি আঁকেন গঁগ্যা। এ ছবিতে তিনি তাহিতি দ্বীপের দুই নারীর প্রতিমূর্তি অঙ্কন করেন। ১৮৯১ সালে প্রথমবারের মতো তাহিতি দ্বীপে গিয়ে এই ছবির রসদ জোগাড় করেছিলেন গঁগ্যা।

২০১৪ সালে সুইস ব্যবসায়ী রুডলফ স্টায়েচলিনের কাছ থেকে নিলামে ২১ কোটি ২০ লাখ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭৫৭ কোটি টাকার বেশি) ছবিটি কিনে নেয় কাতারের রাজপরিবার।

সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যাল তার জীবনের ছায়ায় ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস 'আবার যদি ইচ্ছা করো' রচনা করেছেন। সেখানে তার নাম গগন পাল। অপর চিত্রকর ভ্যান গখ, পরিচিত হয়েছেন 'চন্দ্রভান গর্গ নামে।