প্রেমিকার খোঁজে বাংলাদেশের আদালতে মার্কিন যুবক : হাইকোর্ট সেই তরুণী
প্রকাশ : 2025-01-26 13:08:03১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশি বান্ধবীকে ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের নাগরিক হারুন আসাদ মির্জা নামে এক তরুণ রিট করেছিলেন। রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৩ জানুয়ারি ওই তরুণের বান্ধবী কক্সবাজার সদর উপজেলার তরুণীকে হাজির হতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালতের আদেশে আজ (রোববার) বাবা-মাসহ ওই তরুণী হাজির হয়েছেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে তারা হাজির হন। এজলাস কক্ষ থেকে আইনজীবী-সাংবাদিকসহ সবাইকে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে যেতে বলেন হাইকোর্ট। রুদ্ধদ্বার এজলাস কক্ষে তরুণীর বক্তব্য শুনেছেন আদালত।
এর আগে মা-বাবসহ ওই তরুণীকে হাইকোর্টে হাজির করতে কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
গত ১৩ জানুয়ারি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আইনজীবীরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমধ্যমে কক্সবাজার সদর উপজেলার এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মার্কিন নাগরিক হারুন আসাদ মির্জার। এরপর দুজনের মধ্যে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তবে সম্পর্কের বিষয়টি তরুণীর পরিবার জেনে যাওয়ায় বাঁধে বিপত্তি। পরিবারের চাপে এক পর্যায়ে আসাদ মির্জার সঙ্গে ওই তরুণীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তরুণীর সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে না পেরে তরুণ বাংলাদেশে ছুটে আসেন।
সম্প্রতি ওই মার্কিন যুবক বাংলাদেশে এসে নানা জায়গায় ছুটাছুটি করেও প্রিয়জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না পেরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তরুণীর বক্তব্য শুনতে চান।
রুলে বাংলাদেশি ওই তরুণীকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা কেনো আইনবহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, কক্সবাজার সদর থানার ওসিসহ সংশিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
সা/ই