প্রতিহিংসাপরায়ণ খালেদা জিয়ার প্রতি শেখ হাসিনার মহানুভবতা নজিরবিহীন: তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশ : 2023-10-03 18:19:35১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করার বিষয় নিয়ে বিএনপি নানা অপপ্রচার করছে।তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে দেশে কোন বিশৃঙ্খলা করতে দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগ মাঠে ছিল মাঠে থাকবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতি যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, বেগম জিয়া কি সে মহানুভবতা দেখিয়েছিলেন যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন? ক্ষমতায় থাকাকালীন সিএমএইচ হাসপাতালে রোগী দেখতে সেনানিবাসে ঢুকতে দেননি। শেখ হাসিনাকে হেঁটে যেতে হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া সেই মানুষ, যে নিজের জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ১৫ আগস্ট করেছে। তার জন্মদিন ৪-৫টি, কোনোটায় ১৫ আগস্ট ছিল না। তার বিয়ের রেজিস্ট্রারে একটি, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একটি, পাসপোর্টে একটি, পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপে একটি এবং সর্বশেষ করোনা হওয়ার পর আরো একটি জন্ম তারিখ দেখা গেছে। কোনোটাতেই ১৫ আগস্ট ছিল না। যেদিন মানুষ শোক দিবস পালন করে, সেদিন তিনি কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন।
মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সেই মানুষ যার দুয়ারে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে ২০ মিনিটের বেশি সময় দাঁড়িয়ে ছিল কিন্তু দরজা খোলা হয় নি। কী পরিমাণ দম্ভ, অহমিকা দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য দরজা খোলেনি। বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিল তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করেছিল। আমাদের সরকার তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেনি। যে সমস্ত মামলা হয়েছে সেগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। সেই মামলায় তিনি সাজা খাটছেন এবং বিচার হচ্ছে। সরকার তো তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি।
তিনি বলেন, কোনো শিক্ষার্থী বিয়ে করলে হলে থাকতে পারবে না, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোতলা বাসে ছাত্রীরা নীচতলায় বসবে এবং ছাত্ররা দোতলায় বসবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তগুলোকে অযৌক্তিক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এসব সিদ্ধান্ত কীভাবে হয়, কোথা থেকে হয়, কার মাথা থেকে আসে, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হবে।
তিনি বলেন, বিদেশি টেলিভিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ হওয়ায় এবং ক্লিনফিডের মাধ্যমে বিদেশি টেলিভিশন প্রদর্শিত হওয়ায় দেশ থেকে প্রতিবছর পাচার হওয়া প্রায় ৫০০ কোটি টাকা সেভ হয়েছে। অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যমে ক্লিনফিড ছাড়াই বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার বিষয়টিও বন্ধ করা হবে।