প্রক্টর-প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি চেয়ে মানববন্ধন
প্রকাশ : 2024-02-06 16:25:17১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রক্টর অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ উল হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সাব্বির আলমের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’ এ ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
তাদের দাবি, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, অছাত্রদের হল থেকে দ্রুত বের করা,
যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনিকে বহিষ্কার করা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দেখেছি ক্যাম্পাসে যত ধরনের অপকর্ম হয় তার পেছনে মদদদাতা একটি গোষ্ঠী আছে। যখন তাদের অপকর্ম সামনে আসে তখন ঐ বিশেষ গোষ্ঠী দাবি করে অপরাধীর কোনো দল নেই, অপরাধীর পরিচয় অপরাধী। আজকে আমরা এখানে শুধু এক মোস্তাফিজের শাস্তির জন্য আন্দোলন করছি না। আমরা মোস্তাফিজের মতো আরও যারা মুখোশধারী আছে, সবার মুখোশ উন্মোচন করতে চাই৷
তারা মনে করেন গোটা বাংলাদেশের জন্য এই মানববন্ধন একটা উদাহরণ হয়ে থাকা উচিত, 'আজকে আমরা দলমত নির্বিশেষে সবাই এখানে দাঁড়িয়েছি। গোটা বাংলাদেশের জন্য এটা একটা উদাহরণ হয়ে থাকা উচিত। বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই, শাসন নেই, অধিকার নেই। দোষ শুধু মোস্তাফিজ মানিকদের না। দোষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও যারা এই সকল মোস্তাফিজ, মানিকদের ব্যবহার করে ভিসির চেয়ারে বসেন। আমি শাসক দলকে বলতে চাই আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে, কারণ আপনাদের ছাত্র সংগঠনের ছাতার নিচে ধর্ষকরা বেড়ে ওঠে। আর যারা তাদের সাহায্য নিয়ে উপাচার্য হন তাদের চরিত্র পরিবর্তন করতে হবে।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. হাসিব জামানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এএসএম আনোয়ারুল্লাহ ভুঁইয়া, অধ্যাপক রায়হান রাইন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলি, অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাফরুহী সাত্তার, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদা আকন্দ প্রমুখ।
সা/ই