প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : 2024-02-18 12:30:20১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
থাইল্যান্ডের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ছয় মাস হাসপাতালে আটকাবস্থায় থাকার পর আজ রোববার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁর আইনজীবী এ তথ্য জানিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ১৫ বছর পর প্রথমবারের মতো নিজ দেশে মুক্ত দিন কাটাচ্ছেন থাকসিন।
দীর্ঘ ১৫ বছর স্বেচ্ছানির্বাসন শেষে গত বছরের আগস্টে দেশে ফেরার পর থেকে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা বন্দী ছিলেন। ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব-সংক্রান্ত মামলায় তাঁর আট বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। পরে অবশ্য থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে এক বছর করেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে কারাগারে না থেকে হাসপাতালে ছিলেন থাকসিন। আর ছয় মাসের মাথায় প্যারোলে মুক্তি পেলেন।
রয়টার্সের সাংবাদিকেরা বলেছেন, ৭৪ বছর বয়সী থাকসিন আজ ভোরে একটি কালো মার্সিডিজ গাড়িতে করে হাসপাতাল ছাড়েন। তাঁর পরনে ছিল সবুজ শার্ট। থাকসিনের পাশে ছিলেন তাঁর ছোট মেয়ে এবং ফিউ থাই পার্টির নেত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
প্রায় ২৫ মিনিট পর গাড়িটি ব্যাংককে থাকসিনের নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় থাকসিন প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এত দিন তিনি কারাগারে না থেকে হাসপাতালে বন্দী ছিলেন।
ইনস্টাগ্রামে একজন অনুসারীর পোস্ট নিজের অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন পেতংতার্ন। ওই পোস্টে লেখা আছে—‘থাকসিন বাড়িতে ফিরেছেন, তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।’ ওই পোস্টের সঙ্গে পেতংতার্ন ও তাঁর বাবার একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
আইনজীবী উয়িনইয়াত চার্তমন্ত্রি রয়টার্সকে বলেন, থাকসিন প্যারোলের প্রক্রিয়া শেষ করেছেন এবং তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে থাকসিন দেশে ফেরার পর তাঁকে কারাবন্দী করা হয়। জেলে প্রথম রাতেই তাঁর রক্তচাপ বেড়ে গেলে এবং বুকে ব্যথা দেখা দিলে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তখন থেকেই হাসপাতালে আটকাবস্থায় ছিলেন তিনি।
সান