পৃথিবীর পাঁচটি মহাদেশের বিভিন্ন দেশের ওপর নজরদারি চালিয়েছে চিনের বেলুন
প্রকাশ : 2023-02-09 14:22:47১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গত সপ্তাহে চীনের কথিত ‘গোয়েন্দা বেলুন’ শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, পৃথিবীর পাঁচটি মহাদেশের বিভিন্ন দেশের ওপর নজরদারি চালিয়েছে। এমনকি এ বেলুনের মাধ্যমে ভারতের ওপরও নজরদারি চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের ওই নজরদারির কেন্দ্রবিন্দু কেবল যুক্তরাষ্ট্র ছিল না। ভূপাতিত করা বেলুনের ধ্বংসাবশেষ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা প্রমাণ করে, বেলুনটি বেশ কয়েকটি দেশের ওপর দিয়ে উড়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, মার্কিন কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, ওই নজরদারি বেলুনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল চীনের উপকূলীয় হাইনান প্রদেশ থেকে। তাছাড়া বেলুনটির মাধ্যমে ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান ও ফিলিপাইনে নজরদারি চালানো হয়েছে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদসম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস- বেলুনটির মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে নজরদারি চালিয়েছে চীন।
প্যাট রাইডার আর বলেন, আমরা এ ধরনের বেলুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি ও কিভাবে এটি শনাক্ত করা যায় তাও শিখেছি। আশা করি, এরপরে অন্য কোনো দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের বেলুন প্রবেশের সুযোগ পাবে না।
তিনি আরও বলেন, পাঁচটি মহাদেশে নজরদারি চালানোর জন্য আসলে একাধিক বেলুন ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানভেদে এগুলোর আকার ও কার্যক্রম আলাদা ছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেলুনটি ২০০ ফুট লম্বা অর্থাৎ, প্রায় একটি বিমানের সমান ছিল। এটির ওজন ছিল কয়েকশ অথবা কয়েক হাজার পাউন্ড। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নজরদারি চালাতে এর আগেও এ ধরনের বেলুন ব্যবহার করেছে চীন।
‘পেন্টাগনের বিশ্বাস, বেলুনগুলো কমপক্ষে চারবার মার্কিন ভূখণ্ড প্রদক্ষিণ করেছে। তবে প্যাট রাইডার এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি। এরই মধ্যে ৪০টি মিত্র দেশকে চীনের ‘অবৈধ গুপ্তচরবৃত্তি’ সম্পর্কে সতর্ক করেছে।’
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারোলিনা উপকূলে যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বেলুনটি ভূপাতিত করা হয়। এখন মার্কিন নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা বেলুনটির সব ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধ্বংসাবশেষ থেকে চীন ঠিক কী ধরনের তথ্য সংগ্রহ করেছে, তা বোঝা যাবে।