পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছেন এরদোয়ান, ন্যাটোতে উদ্বেগ

প্রকাশ : 2022-10-08 09:42:44১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছেন এরদোয়ান, ন্যাটোতে উদ্বেগ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য শুক্রবার ফোনে আলোচনা করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। দুই দেশের সম্পর্ক গভীর হওয়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে ন্যাটোর অন্যান্য বেশ কয়েকটি সহযোগী রাষ্ট্রের মধ্যে।এরদোয়ানের কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে এই ফোনালাপের কথা জানানো হয়। খবর টিআরটির

এতে বলা হয়েছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে তার কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। পুতিনের সঙ্গে এরদোয়ানের গত কয়েক মাসে তিনটি মুখোমুখি বৈঠকের পরে এই ফোনালাপ হলো।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে অস্বীকার করাসহ তুর্কি নেতার সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রচেষ্টা, তার পশ্চিমা অংশীদার এবং ন্যাটোর প্রতি তুরস্কের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান প্রশ্ন উঠছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকার।

তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মেসুত কাসিন (ইস্তাম্বুলের ইয়েডিটেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক) বলেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে এ ধরনের আলোচনা স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, 'তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য এবং তা অব্যাহত থাকবে এবং তা তুরস্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ন্যাটো জোটের সম্পর্ক এক জিনিষ এবং রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক অন্য কিছু। এ দুটিকে আলাদা বিষয় হিসেবে দেখতে হবে। রাশিয়া আমাদের প্রতিবেশী দেশ এবং আমাদের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। ইউক্রেনের ব্যাপারে তুরস্কের নিরপেক্ষ নীতি নেটোর উপকারের জন্য।

তবে তুর্কি-রাশিয়ার আর্থিক সম্পর্ক গভীর করা নিয়ে পশ্চিমাদের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় মাত্রার নিষেধাজ্ঞার হুমকির মুখে তুরস্কের ব্যাংকগুলো গত মাসে রাশিয়ার মীর পেমেন্ট সিস্টেম থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। মস্কো রাশিয়ার আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে যাবার জন্য এই সিস্টেমটি ব্যবহার করছিল। 

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, আঙ্কারা তার পশ্চিমা মিত্রদের উপর প্রভাব বজায় রেখেছে। সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের অনুমতির জন্য তুরস্কের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। বৃহস্পতিবার এরদোয়ান ন্যাটোতে সুইডেনের অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাব বন্ধ করার জন্য পুনরায় হুমকি দিয়েছেন।

ভৌগোলিকভাবে তুরস্ক রাশিয়া, ইউক্রেন এবং ইরান ও সিরিয়ার মতো অন্যান্য অশান্ত অঞ্চলের কাছাকাছি থাকায় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এরদোয়ান তার দেশের কৌশলগত গুরুত্ব এবং পশ্চিমা মিত্রদের অব্যাহত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন।