পুজো অনুদানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিক আদালত, জনস্বার্থে মামলা
প্রকাশ : 2022-08-26 16:08:54১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গত বছর অনুদানের পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণায় তা এক ধাক্কায় বেড়ে হয়েছে ৬০ হাজার। তারপর থেকেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিকে এরইমধ্যে অনুদানের বিরোধিতা করে আইনজীবীদের সংগঠন কলকাতা হাইকোর্টে এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। অনুপতি দিয়েছিলেন বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তারপরেই বুধবার দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। এবার একই ইস্যুতে ফের আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে। সূত্রের খবর, মামলা করেছেন সুবীর কুমার ঘোষ নামে এক ব্যক্তি।
সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ মেনে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা না দিয়ে কেন পুজোয় অনুদান? যেখানে অনেক মানুষ এখনও খাবার, পরিষ্কার জল, বিদ্যুৎ, ওষুধ পাচ্ছেন না, সেখানে কেন এই অনুদান? অনেকের স্কুলে যাওয়ার সঙ্গতি নেই, তারপরেও কেন রাজ্য অনুদান দিচ্ছে পুজোয়? এই অনুদান কোন বৃহত্তর জনস্বার্থে লাগবে? এই সমস্ত প্রশ্ন তোলা হয়েছে জনস্বার্থ মামলায়। অবিলম্বে রাজ্যেকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিক আদালত, মামলা করার সময় এই আবেদনও করা হয়েছে সুবীর কুমার ঘোষের তরফে। এদিকে পুজো অনুদান নিয়ে দফায় দফায় মামলা হওয়া নিয়ে চাপানউতর বেড়েছে নাগরিক মহলে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ৪০ হাজারের বেশি ক্লাব পুজোয় রাজ্য সরকারের এই অনুদান পেয়ে থাকে। মোট অনুদানের জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ২৪০ কোটিরও বেশি। অন্যদিকে দুর্গাপুজোর জন্য গত বছর ক্লাব প্রতি ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল বিদ্যুতের বিলে। এবার মমতার ঘোষণায় তা বেড়ে হয়েছে গিয়েচে ৬০ শতাংশ। সোমবার দুর্গাপুজো সংক্রান্ত প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “আগের বার দিয়েছিলাম কত? আমার কাছে কিন্তু নেই, ভাঁড়ার শূন্য। মা দুর্গা ভাঁড়ার ভর্তি করে দেবেন, আমি আশা করি। তাই এবার আমরা আমাদের কষ্ট থাকা সত্ত্বেও ৫০ হাজার টাকাটা ৬০ হাজার টাকা করে দিলাম। খুশি তো?” এখন এই ইস্যুতে আদালতের তরফে কী নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিকেই তাকিয়য়ে সকলে।
মমতা বন্দোপাধ্যায় গত তিনচার বছর যাবত পূজো নিয়ে রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ সকল বিরোধি দলের। ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করবে স্বস্ব ধর্মে বিশ্বাষি মানুষ।রাষ্ট এক্ষেত্রে সকল ধর্মের সহ অবস্হান নিশ্চিত করবে। রাষ্টে মোদি রাজ্যে এ ধর্ম কে নিয়ে রাজনীতি করছে। নরেন্দ্র মোদি হিন্দুত্ববাদ আর মমতা কখনো রাম কখনো দূর্গা আবার সংখ্যালঘু মুসলিম তোষন করে তার ভোট ব্যাংক ধরে রাখার অপকৌশল চালাচ্ছে। পুজায়,অনুদান দিয়ে ক্লাবগুলোকে কেনার এক ঘৃণ্য প্রতিযোগীতা শুরু হওয়ায় সিপিএম ও কংগ্রেস তীব্র নিন্দা করেছে।