পার্পল ক্যাপের হিসাব নিকাশ পাল্টে দিলেন বুমরাহ
প্রকাশ : 2024-04-12 10:06:35১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
নতুন বলে শুরুতেই ফিরিয়ে দিলেন বিরাট কোহলিকে। পরে ডেথ ওভারে জাদু দেখালেন জাসপ্রিত বুমরাহ। দুইবার জাগালেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। কোনোবারই ধরা দিল না এই অর্জন। তবে প্রাপ্তি কম হলো না মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এই পেসারের। চতুর্থ বোলার হিসেবে আইপিএলে গড়লেন একাধিকবার পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। একই সঙ্গে এবারের আসরের
মুম্বাইয়ের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ২১ রানে ৫ উইকেট নেন বুমরাহ। আর এতেই ৫ ম্যাচে ৫.৯৬ ইকোনোমি রেটে ১০ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলারের তালিকাতে শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি। যুবেন্দ্র চাহালকে সরিয়ে পার্পল ক্যাপ নিজের দখলে নিয়েছেন তিনি। দুইয়ে নেমে গেছেন যুবেন্দ্র চাহাল।
১০ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলারের তালিকায় শীর্ষে চলে গিয়েছিলেন তিনি। তবে আজকে তার সিংহাসন কেড়ে নিল তার স্বদেশী বুমরাহ। ৫ ম্যাচে ৭.৩৩ ইকোনোমি রেটে ১০ উইকেট তুলে নিয়েছেন চাহাল। আর এতেই চলতি আসরে বল হাতে দারুন ছন্দে থাকা বাংলাদেশের পেসার কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান নেমে গেছেন তিনে। ৪ ম্যাচ খেলে ৮ ইকোনোমি রেটে ৯ উইকেট নিয়েছেন এই দেশ সেরা পেসার। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলারের তালিকায় ৩ নম্বরে আছেন তিনি।
তালিকার ৪ নম্বরে আছেন আর্শদীপ সিং ৫ ম্যাচে ৮.৭২ ইকোনোমি রেটে ৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৫ নম্বরে উঠে এসেছেন গুটরাট টাইটানসের মহিত শার্মা। ৬ ম্যাচে ৯.৩৯ ইকোনোমি রেটে ৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এদিকে, টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়ারের মতো ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ১৭তম ওভারে পরপর দুই বলে ফাফ ডু প্লেসি ও মাহিপাল লোমরোরকে বিদায় করেন বুমরাহ। আর ১৯তম ওভারে পরপর দুই বলে নেন সৌরভ চৌহান ও ভিজেয়কুমার ভিশাকের উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে বুমরাহর অভিষেক ২০১৩ সালে। সেই বছরই আইপিএলে খেলেন প্রথমবার। লম্বা সময় অপেক্ষার পর ২০২২ সালে প্রথমবার ৫ উইকেট নেন তিনি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ১০ রানে ৫ উইকেট এখনও এই সংস্করণে তার সেরা বোলিং।
পরেরবার ৫ উইকেট নিতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হলো না বুমরাহর। চতুর্থ বোলার হিসেবে আইপিএলে একাধিকবার ৫ উইকেট নিলেন অভিজ্ঞ এই পেসার। জেমস ফকনার, জেয়দেভ উনাদকাট ও ভুবনেশ্বর কুমারেরও এই কীর্তি আছে দুইবার করে।
দুইটি জায়গায় সবার উপরে উঠে গেলেন বুমরাহ। প্রথম বোলার হিসেবে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৫ উইকেট নিলেন তিনি। আগের সেরা ছিল আরেক ভারতীয় পেসার আশিষ নেহরার; ২০১৫ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ১০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
আরেকটি পাতায় রবীন্দ্র জাদেজা ও সন্দিপ শার্মাকে ছাড়িয়ে গেলেন বুমরাহ। ২৯ উইকেট নিয়ে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে আইপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট এখন তার। জাদেজা ও সন্দিপের উইকেট ২৬টি করে।
চলতি আসরে ডেথ ওভারে যেন নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বুমরাহ। এখন পর্যন্ত ম্যাচের ১৬ থেকে ২০ ওভারে বোলিং করে ৪২ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ওভার প্রতি দিয়েছেন কেবল ৭ রান করে। একই সময়ে দলের অন্য সব বোলার মিলে ২১৭ রানে নিয়েছেন কেবল ৫ উইকেট। ওভার প্রতি দিয়েছেন ১৪.৯৭ রান।
ব্যতিক্রম হয়নি এদিনও। শেষ ৫ ওভারের অন্য তিনটিতে ৫২ রান খরচ করেন মুম্বাইয়ের বোলাররা। সেখানে দুই ওভারে ১৪ রান দিয়ে বুমরাহ নেন ৪ উইকেট। নিজের শেষ বলে ছক্কা হজম না করলে রেকর্ড উজ্জ্বল হতো আরও।
বুমরাহর দারুণ বোলিংয়ের পরও ৮ উইকেটে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে বেঙ্গালুরু। ৪০ বলে ৬১ রান করেন ফাফ ডু প্লেসি। ২৬ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রজত পাতিদার। শেষ দিকে ২৩ বলে অপরাজিত ৫৩ রানের খুনে ইনিংস খেলেন দিনেশ কার্তিক।
তাতে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার কোনো ইনিংসে তিন ফিফটি ও ৫ উইকেটের দেখা মেলে। বেঙ্গালুরুর ইনিংসে তিনটি শূন্যও আছে। টি-টোয়েন্টিতে কোনো ইনিংসে তিনটি করে ফিফটি ও শূন্যর দেখাও মিলল প্রথমবার।