পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুর গুজব প্রত্যাখ্যান পরিবারের, তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন

প্রকাশ : 2022-06-11 11:20:36১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুর গুজব প্রত্যাখ্যান পরিবারের, তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন

পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুর গুজব নাকচ করে দিয়েছে তাঁর পরিবার ও দল। তবে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তিন সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর এখন তিনি বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। খবর ডনের।

গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে মোশাররফের নিজের টুইটারে পরিবার জানিয়েছে, ‘তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়নি। শারীরিক জটিলতার কারণে শেষ তিন সপ্তাহ তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এই সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে সেরে ওঠা সম্ভব নয়। তাঁর শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক এই জেনারেলের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম খবরও প্রকাশ করে। পরে মোশাররফের মৃত্যুর গুজব নাকচ করে এই বিবৃতি দেয় পরিবার।

এদিকে সাবেক এই সেনাশাসকের মৃত্যুর গুজব নাকচ করে দিয়েছে তাঁর দল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগও (এপিএমএল)। বিষয়টি জানতে চাইলে এপিএমএল মুখপাত্র আমান খান তারিন ডনকে বলেন, ‘এটা ভুয়া খবর।’

এপিএমএল জানায়, তিন সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মোশাররফকে তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়া কিংবা তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখার বিষয়টিও নাকচ করে দিয়েছে দলটি।

সাবেক এই সেনাশাসক ২০১৬ সালের মার্চে চিকিৎসার কথা বলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই চলে যান। এরপর তিনি আর পাকিস্তানে ফেরেননি। বর্তমানে দুবাইতেই অবস্থান করছেন মোশাররফ।

এপিএমএলের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানায়, বাসায় থেকেই সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ‘অ্যামিলয়ডোসিস’ রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

দলের পক্ষ থেকে মোশাররফের বিরল ‘অ্যামিলয়ডোসিস’ রোগে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানানো হলে ২০১৮ সালে তাঁর অসুস্থতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই রোগের ফলে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কোষে ‘অ্যামিলয়ড’ নামে একধরনের অস্বাভাবিক প্রোটিনের তৈরি হয়।

ফলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কোষগুলো স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না। ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর সংবিধান স্থগিত করায় ২০১৪ সালের ৩০ মার্চ অভিযুক্ত করা হয় অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা নেওয়া মোশাররফকে। ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত।