পাঁচ দফা দাবিতে প্রতীকী অবরোধ
প্রকাশ : 2024-02-12 12:48:47১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের ব্যানারে ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ভবনগেটে ‘অবরোধ’ লেখা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি অছাত্রদের হল থেকে বিতাড়িত করে গণরুম বিলুপ্ত করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা; যৌন নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তিসহ ক্যাম্পাসে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা; ধর্ষণের ঘটনায় প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত করা এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া; মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কোনো বাস্তবায়ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করতে পারেনি। তারা পাঁচ কর্মদিবস সময় চেয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময় গতকাল শেষ হলেও অছাত্রদেরকে বেরতো দূরে থাক বরং প্রশাসন তাদেরকে নিয়ে ভাগবাটোয়ারার মিটিং করছে প্রতিনিয়ত। তাই পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা আজ অবরোধ করছি। আমাদের ন্যায্য দাবি না মানা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারটা সম্যসা আছে। প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলা আছে। এই বিষয় গুলো নিয়ে কথা তোলার পাশাপাশি আমরাও নিজেরা সচেতন থাকি, নিয়ম মেনে চলি।'
গতকাল রোববার রাতে মশাল মিছিল বের করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি উপাচার্য ভবনের সামনে গিয়ে স্লোগান দিতে থাকলে প্রায় আধাঘণ্টা পর বাসভবন থেকে বের হয় আসেন উপাচার্য। এ সময় আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। নির্ধারিত পাঁচ কর্মদিবস পার হলেও প্রতিশ্রূত কথা রক্ষা করতে না পারায় আন্দোলনকারীরা প্রশাসনিক ভবন অবরোধের ঘোষণা দেন।
সা/ই