পাঁচ অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস , শিলাখণ্ডের আঘাতে নগরে ক্ষয়ক্ষতি
প্রকাশ : 2024-04-01 12:21:50১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
দেশের পাঁচ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে— কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ। সোমবার (১ এপ্রিল) এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া বার্তায়, ওই অঞ্চলগুলোর নদীবন্দরে এদিন ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়, পাঁচ অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এর আগে রোববার (৩১ মার্চ) রাত ৯টা থেকে সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে ওই দুই অঞ্চলের ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল।
রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে হওয়া ঝড়ে আকাশ থেকে পড়া বড় বড় শিলাখণ্ডের আঘাতে নগরের অনেক বাসাবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গেছে। যানবাহনেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, বছরের এই সময়ে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিকে কালবৈশাখী বলা হয়ে থাকে। কালবৈশাখীতে শিলাবৃষ্টি হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চৈত্রের শেষ ও বৈশাখের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমা মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কালবৈশাখী হয়। এ সময় বৃষ্টির ফোঁটাগুলো পড়ার সময় প্রায়ই মাঝপথে বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপের মধ্যে পড়ে। ফলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো নিচে নামতে নামতে তার কিছু অংশ আবার ওপরে উঠতে শুরু করে এবং আরও ঠান্ডা হতে থাকে। ঘনীভূত পানির ফোঁটাগুলো আরও ভারী হয়ে আবার নিচে নামতে থাকে এবং আবার গরম বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপে পড়ে তার কিছু অংশ আবার ওপরে উঠতে থাকে। কয়েকবার ওঠানামা করতে করতে পানির ফোঁটাগুলোর কিছু অংশ ছোট ছোট বরফখণ্ডে পরিণত হয়। এগুলো বেশি ভারী বলে আর ওপরে উঠতে পারে না। বৃষ্টির ধারার সঙ্গে নিচে নেমে আসে। এটাই শিলাবৃষ্টি। শিলাবৃষ্টির প্রধান শর্ত প্রচণ্ড গরম। চৈত্র–বৈশাখ মাসে এ রকম গরম পড়ে। ফলে কালবৈশাখীর সময় শিলাবৃষ্টি হয়।
সা/ই