পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে, পার্বত্য এলাকায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান ড. ইউনূসের
প্রকাশ : 2024-09-20 19:31:46১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে উদ্ভুত সংকট সমাধানে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেইসঙ্গে সবাইকে শান্ত থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ড. ইউনূস তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান। ‘তিন পার্বত্য জেলায় শান্ত থাকতে সকলকে আহ্বান: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার’ শিরোনামে ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল খাগড়াছড়ি ও আজ রাঙামাটি তে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর জনৈক ব্যক্তিকে গণপিটুনি ও পরবর্তীতে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখিত এবং ব্যথিত।
সরকারের পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে এবং পার্বত্য তিন জেলায় বসবাসকারী সকল জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর।
আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়া এবং ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সকলকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া এবং যে কোনো সম্পত্তি ধ্বংস করা দণ্ডণীয় ও গর্হিত অপরাধ। সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত আর দায়ী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি খুব শিগগিরই গঠন করা হবে। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামীকাল শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পরিদর্শন করবেন। এই প্রতিনিধি দলে থাকছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।’ তিনি আরও লিখেছেন, সরকার সেখানে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর।
গত বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে মো. মামুন নামে এক যুবককে চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে, যা রাঙ্গামাটি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। নাশকতা রোধে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।