পথনাটক, সিনেমায় রাষ্ট্রপিতা বঙ্গবন্ধুর অভিনয়
প্রকাশ : 2022-03-07 09:52:33১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
রাষ্ট্রপিতা (ফাউন্ডিং ফাদার অব দ্য নেশন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির আধুনিক রূপকার। বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালির ইতিহাসের মহানায়ক। দেশের প্রত্যন্ত জনপদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিয়ে তিনি ধাপে ধাপে বাঙালির জাতিরাষ্ট্রের স্থপতি হয়ে ওঠেন। দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্তির পথ দেখান। জীবনের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় তিনি বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে নানা কিছুর সঙ্গে যুক্ত হন। যা তাঁর জীবনের বর্ণাঢ্য অধ্যায়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি পথনাটকে অভিনয় করেন। অভিনয় করেন একটি সিনেমাতেও। যা নির্মিত হয় তাঁরই নেতৃত্বে পরিচালিত বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর। ওই সিনেমা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক। সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এ দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। পথনাটকে তিনি অভিনয় করেন ১৯৫৪ সালে। আলতাফ মাহমুদের নির্দেশনায় ঢাকার আরমানিটোলা মাঠে ‘কিষানের পালা’ নামে ওই গীতিছায়া মঞ্চস্থ হয়। এতে বঙ্গবন্ধুসহ অলি আহাদ ও আতাউর রহমান খান অভিনয় করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রামে’ ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও সিনেমার পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন তিনি। ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে স্যালুট করছে। এ দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায়, সে নিয়ে চিন্তায় পড়েন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি।
পরে ওই সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাঁকে রাজি করানো হয়। ‘সংগ্রাম’ ছবিতে নায়ক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়। শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো শেখ মুজিবের। এ ভালোবাসা থেকেই তিনি যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তাঁর দূরদর্শিতায়’ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন’ প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।
মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের শৌখিন নাট্যগোষ্ঠীর উপর থেকে প্রমোদ কর উঠিয়ে দেয় বঙ্গবন্ধুর সরকার। একইসঙ্গে নাটকের বিভিন্ন বিধিনিষেধ উঠিয়ে দেয়। তাঁর সরকারের ওই পদক্ষেপ দেশের নাটকের বিকাশে বড় ভূমিকা রেখেছে। ২০০০ সালে তাঁর তনয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সেন্সরশিপ আইন পুরোটাই বাতিল করে দেন।
কৃতজ্ঞতায় :
মত ও পথ