পঞ্চগড়ে শীতের দাপটে কাপঁছে মানুষ

প্রকাশ : 2024-12-10 17:55:24১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পঞ্চগড়ে শীতের দাপটে কাপঁছে মানুষ

হিম কন্যাখ্যাত উত্তরের শেষ জেলা পঞ্চগড়ে শীতের দাপটে কাপঁছে মানুষ। অগ্রহায়ণের শেষ সময় এসে হিমেল হাওয়া আর ঘনকুয়াশায় আছন্ন থাকছে চারিদিক।

 তাপমাত্রা বাড়লেও মঙ্গলবার সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। কুয়শায় ঢেঁেক ছিল পুরো জেলা। এদিন তেতুঁলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিস সকাল নটায় সর্ব নি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এবছরের সর্বোচ্চ শীত আর হিমেল হাওয়ার সাথে ঘনকুয়াশায় জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। অথচ সোমবার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।তবে কয়দিন ধরে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রির ঘরেই ছিল সর্বনি¤œ তাপমাত্রা। তবে মঙ্গলবারে মতো এ বছরের শীতের দাপট ছিল না।

তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে বাড়ছে শীতবস্ত্র বিক্রি। পঞ্চগড় শহরে ভ্রাম্যমান দোকান সহ বিপনী বিতানগুলোতে গরম কাপড়ড়ের বেচাকেনা বেড়েছে। ঘনকুয়াশার কারণে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। শীতের দাপট বাড়লেও গরীব অসহায় শ্রমজীবী মানুষের তেমন দেখা যায়নি এসব দোকানে। আয়ের সাথে সঙ্গতি না থাকায় তারা গরম কাপড় কিনতে পারছেনা। অতিমাত্রায় শীত বেড়ে যাওয়ায় মাঠে-ঘাটে কাজ করতে গিয়ে বেশ কাহিল হয়ে পড়ছে কৃষক শ্রমিকরা। সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের দলুয়া, কালেশ্বর , আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বার আউলিয়া ,পানবারা ঘুরে দেখা গেছে অনেকে কৃষক গরম কাপড় পড়ে জমিতে কাজ করছে ভূট্রা ,আলু , সরিষা সহ নানান কাজ করতে হচ্ছে শীতে। তবে মাঠে উপস্থিতি কম। আমন ধান কেটে ফেলার পর এখন জমি তৈরি করা হচ্ছে অন্যান্য ফসল চাষে। মাগুড়া ইউনিয়নের প্রধানপাড়া ও ঝলই এলাকার কয়েকজন কৃষক বলেন ‘ আমরা বেশি শীত হওয়ায় মাঠে কৃষকের উপস্থিতি কম।

বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে , অনেকে হাট-বাজার বাড়ির বাইরে বা উঠানোখড়ঁকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায় শীত এখন বাড়তে থাকবে। সাথে কুয়াশাও থাকবে। আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান বলেন, দিনে আংশিক মেঘলা আকাশ ও আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া মাঝ রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত হাল্কা ,ঘন বা মাঝারি  কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।পাশাপাশি রাতে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভবনা নাই।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী জানান, ইতোমধ্যে সরকারী ভাবে বরাদ্দকৃত ২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারিভাবে বোদা উপজেলার বেংহাড়ি ইউনিয়নে ২ হাজার ২০০ শত পিস শিশু হডি সুয়েটার ও স্কুল ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য একলাখ শীতবস্ত্রের চাহিদা সরকারের নিকট পাঠানো হয়েছে।