পঞ্চগড়ে নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর চাষ, ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা
প্রকাশ : 2025-10-20 19:08:25১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় বাড়ির পাশের পুকুরে গোপনে নিষিদ্ধ আফ্রিকান জাতের মাগুর চাষের অপরাধে সমেজা খাতুন (৪০) নামে এক নারীকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের খুনিয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজী। এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুকুর থেকে প্রায় ৪০ কেজি নিষিদ্ধ আফ্রিকান জাতের মাগুর মাছ ধরে জব্দ করা হয়।
অভিযানে সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিমেল চন্দ্র রায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় মানুষজন সহ সদর থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেন অভিযুক্ত সমেজা খাতুন। তিনি ওই এলাকার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও উপজেলা মৎস্য অফিসের সূত্রে জানা যায়, সরকার আফ্রিকান জাতের মাগুর মাছ চাষ, বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। তবে সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের খুনিয়াপাড়া এলাকায় এক নারী তাঁর পুকুরে গোপনে নিষিদ্ধ আফ্রিকান জাতের মাগুর মাছ চাষ করেছেন। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের (মৎস্য অধিদপ্তরের অংশ) আওতায় মৎস সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরের যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত বাস্তবায়ন করে। পরে মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর আওতায় মৎস্য সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৮৫ এর বিধি ১৮ অনুযায়ী ধারা ৫(২) এর আওতায় অফ্রিকান মাগুর চাষের অপরাধে অভিযুক্ত সমেজা খাতুনকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিমেল চন্দ্র রায় বলেন, সরকার আফ্রিকান জাতের মাগুর মাছ চাষ নিষিদ্ধ করেছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। জব্দকৃত মাছ গুলো স্থানীয় মাদরাসা বা এতিমখানায় বিতরণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজী বলেন, নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর মাছ চাষ করা হচ্ছে মর্মে আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের খুনিয়া পাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। ভ্রাম্যমান আদালতে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন৷ ভবিষ্যতে এমন কাজ থেকে বিরত থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। পরে অভিযুক্তকে মৎস্য আইনে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আগামীতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।