পঞ্চগড়ে ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন
প্রকাশ : 2024-09-06 18:59:36১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলনের বিরুদ্ধে জমি দখল, হামলা, মামলা, দুর্নীতি ,চাঁদা সহ নানা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় শহরের শেরে বাংলা পার্কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বাংলাবান্ধা- ঢাকা মহাড়কে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলনে ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। অন্যায়ভাবে মানুষের জমি দখল করেছেন। চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকরা রেছেন। চেয়ারম্যানের এমন দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন বক্তারা। এসময় বক্তব্য দেন, ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ, আবু তাহের, আমেনা বেগম, সায়েদা বেগম ও সালমা আক্তার।
আব্দুল হামিদ অভিযোগ করে আরো বলেন, মিলন চেয়ারম্যানের দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় সাধারণ মানুষের দোকানপাট ভেঙে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বললে মাদক মামলাসহ নানা মামলা দিয়ে মানুষজনকে হয়রানি করা হয়েছে। তার একটি লাঠিয়াল গুন্ডা বাহিনী আছে। তাদের নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব করছে। বন্দর থেকে শুরু করে পুরো ইউনিয়নে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে তার কারণে। এর আগেও একাধিকবার অভিযোগ করেছি তার বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। প্রশাসন টাকা খেয়ে কাজ করছে। সে রংপুরে বেসরকারী ভাবে হাসপাতাল দিয়েছে ৫ তালা ভবন দিচ্ছে। প্রতিদিন তিনি আট লাখ টাকা পান এলাকা থেকে। তার একটি সিন্ডিকেট বাহিনী আছে। তার রয়েছে পাথর বিক্রির সিন্ডিকেট।তিনি সরকার পদত্যাগের পর অনেক কয়দিন অফিস করেননি। বক্তারা তার পদত্যাগ দাবী করেন।পরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালিন সরকার বরাবর বিচার চেয়ে স্বারকলিপি প্রদান করে তারা। একই সাথে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের বলেন, আমরা একটি স্বারকলিপি গ্রহণ করেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে মুঠো ফোনে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত ই-খুদা মিলন বলেন , ওই হামিদ সাত বছর ধরে এসব করে আসছে। তিনি আরো বলেন সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আমার বিরুদ্ধে একটি চক্র চক্রান্ত করে যাচ্ছে। যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে তোলা হচ্ছে, তার কোন ভিত্তি নেই। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য এবং সম্মানহানি করার জন্য এটা করেছে। আমি আপনাদের কাছে এসব তুলে ধরবো এবং বসবো।