পঞ্চগড়ে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার
প্রকাশ : 2024-06-03 18:12:07১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় লাভলু মিয়া (২৯) নামে আন্তঃজেলা চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বোদা থানা পুলিশ। রবিবার (০২ মে) দিবাগত রাতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা থেকে চুরি যাওয়া একটি মোটরসাইকেল সহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সোমবার (০৩ মে) বিকেলে তাকে পঞ্চগড় আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া লাভলু মিয়ার বাড়ি রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার দক্ষিণ চেংমারী এলাকায়। সে ওই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে। মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার পত্রিকা এজেন্ট আসিফুজ্জামান আসিফ তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি বিক্রির জন্য বিক্রয় ডট কমে বিজ্ঞাপন দেন। পরে মুঠোফোনে মোটরসাইকেলটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন এক ব্যাক্তি। এরপরে বোদা পৌরসভার নগরকুমারী এলাকায় গত ২১ মে (মঙ্গলবার) মোটরসাইকেল কেনার কথা বলে আসিফকে মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে বলেন ওই ব্যাক্তি। মোটরসাইকেল দেখার এক পর্যায়ে গাড়িটি চালিয়ে দেখার কথা বলে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এক পর্যায়ে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে এঘটনায় গত ২৩মে (বৃহস্পতিবার) আসিফ বাদী হয়ে বোদা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে অভিযানে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে চুরি ঘটনার ১২ দিনের মধ্যে চোরের অবস্থান শনাক্ত হয়। পরে রবিবরা দিবাগত রাতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার দক্ষিণ চেংমারী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি সহ ওই ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পরে জানা যায়, মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ব্যাক্তি নাম লাভলু মিয়া। তিনি মাইক্রোবাস সহ বিভিন্ন যানবাহন চুরির আন্তঃজেলা চক্রের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বোদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, মোটরসাইকেল চুরির পর থেকে আমরা অভিযানে নামি। চোরের লোকেশন সনান্তে কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হলেও তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় চুরি যাওয়ার ১২ দিনের মধ্যে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই। খুব দ্রতই আদালতের মাধ্যেমে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি বাদীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বোদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, মোটরসাইকেল কেউ বিক্রি করতে চাইলে চক্রটির সদস্যরা বিক্রেতার সাথে দ্রুতই সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল ট্রায়ালের কথা বলে নিয়ে পালিয়ে যেত। এধরনের একাধিক মামলার মুখোমুখি হয়েছে পুলিশ। তবে আমরা এঘটনার মামলার পর থেকে তৎপর ছিলাম। খুব দ্রুতই আসামী সহ চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এই চোর আন্তজেলা যানবাহন চুরি চক্রের সাথে জড়িত বলে ১৬৪ ধারায় নেয়া জবানবন্দীতে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যেমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আমাদের সকলকে এ ধরনের চোর চক্রের সর্ম্পকে সাবধান থাকতে হবে।