নড়বরে পাকা সেতুতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলছে যাতায়ত
প্রকাশ : 2024-08-26 19:47:12১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
কাউনিয়ায় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রীর এলাকায় উন্নয়নের মহাসড়কে পাকা সেতু আছে সড়ক নাই। পাকা সেতুর দুই পাড়ে বাঁশের সাঁকোয় ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়ত চলছে। প্রায় ১০বছর ধরে জনদুর্ভোগ চরমে হলেও কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শক। প্রতি বছর বন্যায় একই দৃশ্য ও ভোগান্তিতে পরে এলাকার মানুষ।
সরেজমিনে বালাপাড়া ইউনিয়নের গোপিডাঙ্গা মৌলভি বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে বর্তমানে ঝুঁকি পূর্ন পাকা সেতুটি দুই পার্শে কোন রাস্তা নেই। সেতুটির একপাশ হেলে গিয়ে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোন সময় সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এলাকাবাসী সেতুর দুই পাড়ে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যোগাযোগ সচল রেখেছে। জানাগেছে ২০১৪ সালে ইউএসএআইডি ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে, কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগিতায়, এলজিইডি এর বাস্তবায়নে ৩৭,২৪,১৮৩ টাকা ব্যয়ে পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালের জুন মাসে সেতুটি উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া। সেতু নির্মাণের ২বছর এলাকার কৃষকের উৎপাদিত পণ্য পরিবহন এবং যাতায়াত উন্নত হয়। এরপর প্রতিবছর বন্যায় তিস্তার পানির তোড়ে সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যায়। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও সেতুটির সংযোগ সড়ক মেরামত না করায় পথচারী এবং যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে যাতায়তে ১০ গ্রামের মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় সেতুর দুই পাড়ে সাঁকো তৈরী করলেও সেটিরও এখন বেহাল অবস্থা। স্থানীয় জনগণ জানান প্রতিবছর সেতুর দুই পাড়ের মাটি সরে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, আর জনগণের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। কৃষি ভান্ডার নামে খ্যাত এলাকটির কৃষক ও শিক্ষার্থীদের যোগাযোহের সমস্যার খবর কেউ রাখে না। ইউপি সদস্য হাফিজার জানান, সমস্যাটি সমাধানে চেয়ারম্যান সাহেব কে অনেক বার বলেছি। ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান গত কয়েক বছর মাটি কেটে ভরাট করেছি আবারও বন্যায় ভেঙ্গে গেছে। নড়বরে পাকা সেতুটি ভেঙ্গে নতুন সেতু নির্মানের জন্য প্রকৌশল দপ্তরে ৪বার আবেদন করেও কোন কাজ হচ্ছে না। উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি জানান, সেতুটি নতুন করে নির্মানের জন্য প্রস্তবনা পাঠিয়েছি কিন্তু কাজ হচ্ছে না। এলাকাবাসী আক্ষেপ করে বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলের উন্নয়নের মহাসড়কে সেতু আছে সড়ক নাই। বর্তমান অন্তবর্তিকালীন সরকারের কাছে ১০ গ্রামের মানুষের দাবী সেতুটি নতুন করে তৈরী করে চরের মানুষের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য ও যোগাযোগ সচল করার।