নারী ফুটবলারদের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি
প্রকাশ : 2024-04-13 10:42:49১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গত বছর ১৬ই আগস্ট ৩১ নারী ফুটবলারের সঙ্গে ৬ মাসের জন্য চুক্তি করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ১লা সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া সেই চুক্তি শেষ হয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে। চুক্তির প্রথম ৬ মাসের বেতন পেয়েও গেছেন নারী ফুটবলাররা। এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই চুক্তি নবায়ন হচ্ছে। নতুন চুক্তিতে ৬ জন খেলোয়াড় অন্তর্ভূক্ত হচ্ছেন। বাদ পড়ছেন ২ জন। চুক্তির বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘আগের চুক্তিতে ক্যাটাগরি ‘বি’- তে থাকা উন্নতি খাতুন ক্যাম্পে যোগ দেননি। স্বাভাবিকভাবেই তিনি বাদ পড়ছেন। সেই সাথে পারফরম্যান্সের কারণে বাদ পড়বেন আরেকজন। নতুন করে চুক্তিতে অন্তর্ভূক্ত হবেন ৬ জনের মতো।
আগে ছিল ৩১ জন। নতুন চুক্তিতে সংখ্যা হতে পারে ৩৫।’ খেলোয়াড় বাড়লেও টাকার পরিমাণ থাকবে আগের মতোই। তবে ক্যাটাগরি বাড়বে। আগে তিন ক্যাটাগরিতে ৩০ ফুটবরার বেতন পেয়েছেন। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ বেতন ছিল ৫০ হাজার এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে সর্বনিম্ন বেতন ১৫ হাজার টাকা। ‘বি’ ক্যাটাগরির বেতন ৩০ হাজার টাকা। নতুন চুক্তিতে ক্যাটাগরি বাড়তে পারে জানিয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগে মোট যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, এবারের পরিমাণ সে রকমই থাকছে। ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা বেতন পাবেন মেয়েরা। ১০ এবং ২০ বা ২২ হাজার টাকার আরো দুটি ক্যাটাগরিও থাকতে পারে।’ ৫০ হাজার টাকা করে বেতন পাচ্ছেন সাবিনা খাতুন, রুপনা চাকমা, মাসুরা পারভীন, শামসুন্নাহার, শিউলি আজিম, নিলুফার ইয়াসমিন, আনাই মোগিনি, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, রিতু পর্ণা, সানজিদা আক্তার, মার্জিয়া, কৃঞ্চারানী সরকার, তহুরা খাতুন। ৩০ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন সোহাগি কিসকু, স্বপ্না রানী, আফঈদা খন্দকার, শাহেদা আক্তার, স্বর্না রানী মন্ডল, আকলিমা খাতুন, সুরমা জান্নাত, সাথী বিশ্বাস, সাতসুশিমা সুমাইয়া, হালিমা আক্তার, কোহাতি কিসকু, নাসরিন আক্তার, ইতি খাতুন এবং ১৫ হাজার টাকা করে পেয়েছেন মিস রুপা ও আইরিন খাতুন। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে মেয়েদের ক্যাটাগরি পরিবর্তন হবে। কেউ নিচের ক্যাটাগরিতে চলে যাবেন, কেউ ওপরে উঠবেন। আগের চুক্তির ৩১ জনের মধ্যে থেকে পারফরম্যান্সে বাদ পড়ছেন একজন। একজন ক্যাম্পে যোগই দেননি। যারা নতুন করে চুক্তির আওতায় আসছেন তারা অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে নজর কেড়েছেন। চুক্তির প্রথম ৬ মাসে মেয়েদের বেতন সময় মতো দিতে পারেনি। পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে অর্থ এনে মেয়েদের বেতন দিয়েছে বাফুফে। যে কারণে, মাঝেমধ্যে বেতন দিতে বিলম্ব হয়েছে। তবে চুক্তি নবায়নের পর সাবিনা-সানজিদাদের বেতন দিতে বাফুফের আর সমস্যা হবে না। কারণ, বাফুফে এখন ফিফার অনুদান থেকে মেয়েদের বেতন দিতে পারবে। আগে ফিফার অনুদান ছিল না। বাফুফের আবেদনে ফিফা তাদের অনুদান থেকে মেয়েদের বেতন দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে।