নারী দিবসে খুদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্রিকেটে মেতে উঠলো বাঘিনীরা

প্রকাশ : 2024-03-09 11:29:02১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

নারী দিবসে খুদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্রিকেটে মেতে উঠলো বাঘিনীরা

ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর সাড়ে তিনটা। পড়ন্ত দুপুর, রোদের তেজ কিছুটা কম।  খুলনা সরকারি করোনেশন স্কুলের গেটে ড্রাম নিয়ে দাঁড়িয়েছিল কিশোরীদের ক্ষুদে বাদক দল। স্কুলের অন্যগেট দিয়ে আসতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ বাদক দলের বাদ্যের তালে থমকে থাকা সময়টা যেন বদলে গেল। স্কুলের প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করলেন জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার পেছনে একে একে ঢুকলেন ফাহিমা, নাহিদা, মারুফাসহ পুরো দল, প্রধান নির্বাচক, কর্মকর্তা ও ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা। 

জাতীয় দলের নারীরা এদিন দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় কাটিয়েছেন কিশোরী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। খেলেছেন ক্রিকেটও। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে  শুক্রবার এভাবেই ব্যতিক্রমী আনন্দে মেতে উঠলেন জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সদস্যরা। তাদের কাছে পেয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে শিক্ষার্থী। খেলা শেষে অটোগ্রাফ, সেলফি আর হাসি-ঠাট্টায় করোনেশ স্কুল প্রাঙ্গন পরিণত হয় এক মিলন মেলায়।

এরপর করোনেশন স্কুলের মাঠে গাছের ছায়ায় কিছুক্ষণের বিশ্রাম। তারপর ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বললেন, প্রতিদিনই নারীদের দিন। এখন আর বিশেষ দিবসে নারীর অধিকার, স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ নেই। নারী আজ স্বাবলম্বী, উদ্যোক্তা, বিজ্ঞানী, খেলোয়াড়। ক্রীড়াঙ্গনে নারীরা আজ পিছিয়ে নেই। নারী খেলোয়াড়রা বিশ্বের বুকে প্রতিনিয়ত অর্জনের মাধ্যমে দেশের নাম উজ্জ্বল করছে।

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অর্জন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের জন্য অন্যতম নিরাপদ ও সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে ক্রিকেটাঙ্গনে। তাই যে কেউ এখন চাইলে ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

নারী ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের থেকে নারী ক্রিকেট দলের অর্জন অনেক বেশি। শিরোপা জেতার দৌঁড়েও তারা এগিয়ে আছে। এভাবে তাদের অদম্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে পুরুষ ক্রিকেট দলের আগেই হয়তো বিশ্বকাপ জিতে নারী ক্রিকেট দল দেশের নাম উজ্জ্বল করবে।