নন্দীগ্রামে মর্যাদায় লড়াইয়ে প্রার্থীরা
প্রকাশ : 2024-06-03 19:28:18১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
চতুর্থ ধাপে বুধবার (৫ জুন) বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার নন্দীগ্রাম উপজেলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ (আনারস), আনোয়ার হোসেন রানা (মোটরসাইকেল), নজিবুল্লাহ মজনু (ঘোড়া) ও মাহমুদ আশরাফ মামুন (দোয়াত কলম)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র মহন্ত (মাইক), শুভ আহম্মেদ (টিউবওয়েল), ইলিয়াস আলী (তালা) ও আমিনুল ইসলাম (চশমা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শ্রাবণী আকতার বানু (হাঁস) ও খালেদা বেগম (কলস)।
প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার আগে ও পরে দিন-রাত অবিরাম নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও বিভিন্ন গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত সময় অতিক্রম করেন। এছাড়া প্রার্থীরা গোটা নন্দীগ্রাম উপজেলায় ব্যাপকভাবে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণাও চালায়। গ্রীষ্মকালের প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে ভোটারদের কাছে ছুটে চলে প্রার্থীরা। সেই সাথে দিয়েছে নানারকম প্রতিশ্রুতি। এদিকে চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে সর্বত্রই ভোট নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা চলছেই। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সোমবার (৩ জুন) রাত ১২টায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শেষ। এখন বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৪৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাবু হক জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৮ হাজার ৩৪৯ জন, নারী ভোটার ৭৮ হাজার ৮৪০ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার মাত্র ১জন রয়েছে।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। আমরা সুন্দর পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর। এজন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তাই আগেই বলা যাচ্ছে না কে কে জিতবে। ভোটাররা খুব হিসাবনিকাশ করে ভোট দিয়ে ৫ বছরের জন্য তাদের পছন্দের প্রার্থীদের জয়ী করবে। যে কারণে মর্যাদার লড়াইয়ে রয়েছেন প্রার্থীরা।