নন্দীগ্রামে বোরো মৌসুমের শুরুতেই সারের চড়া দাম, দিশেহারা কৃষক

প্রকাশ : 2025-01-16 17:06:58১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

নন্দীগ্রামে বোরো মৌসুমের শুরুতেই সারের চড়া দাম, দিশেহারা কৃষক

সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা পুরোপুরিভাবে বোরো চাষে নামবে। এখন উপজেলার কোনো কোনো গ্রামের দু-চারজন কৃষক বোরো চাষ শুরু করেছে। আর এসময় কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে চড়া দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এতে বোরো চাষের খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন এ উপজেলার কৃষকরা। এদিকে বিসিআইসি ও বিএডিসি সার ডিলাররা বলছেন সারের বরাদ্দ কম। এজন্য কোনো কোনো সার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিসিআইসির ১৩ ও বিএডিসির ২৩জন ডিলার রয়েছে। এউপজেলার সার ব্যবসায়ীরা প্রতিবস্তা টিএসপি সার ১৫৪০ থেকে ১৬০০ টাকা, এমওপি সার ১১৫০ থেকে ১২০০ ও ইউরিয়া সার ১৩৫০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি করছে।

অপরদিকে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, খুচরা বাজারে প্রতিবস্তা টিএসপি সার ১৩৫০ টাকা, এমওপি সার ১০০০ টাকা ও ইউরিয়া সার ১৩৫০ টাকায় বিক্রি করতে হবে। গত ডিসেম্বর মাসে নন্দীগ্রাম উপজেলায় টিএসপি সার ৩০৪ মেট্রিক টন, ইউরিয়া সার ৬৫৬ মেট্রিক টন ও এমওপি সার ৩৭৭ মেট্রিক টন বরাদ্দ ছিলো। জানুয়ারি মাসের জন্য টিএসপি সার ২৯১ মেট্রিক টন, ইউরিয়া সার ১২৮৪ মেট্রিক টন ও এমওপি সার ৩৯৩ মেট্রিক টন এ উপজেলায় বরাদ্দ রয়েছে।

উপজেলার হাটলাল গ্রামের আদর্শ কৃষক মিনহাজুর রহমান হাবিব বলেন, বোরো মৌসুমের শুরুতেই সারের দাম বেশি। আবার চাহিদা মতো সারও পাওয়া যাচ্ছে না। সার ব্যবসায়ীরা সার নাই নাই বলছে কিন্তু বস্তাতে ২০০-৩০০ টাকা বেশি দিলেই সার দিচ্ছে।

এবিষয়ে উপজেলার শিমলা বাজারের সার ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেনের সাথে কথা বলার জন্য গেলে তিনি সারের বাজার নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

রণবাঘা বাজারের বিসিআইসির ডিলার রাজিব প্রসাদ জানান, সারের দাম বেশি নাইতো। ইউরিয়া সার সরকারি দরের চেয়ে কমে বিক্রি করছি। টিএসপি ও এমওপি সার বেশি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ১৩৩ বস্তা বরাদ্দ পেয়েছি। এই পরিমাণ সার দিয়ে কী মেকাপ হবে?

কুন্দারহাটের সার ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ বলেন, দেশের সার ডিলার ব্যবস্থাপনা ভালো না। নন্দীগ্রামের ডিলাররাই বেশি দামে সার বিক্রি করছে। যারা ডিলার আছে তারা ঠিকমতো সার তুলে না। চাহিদা মতো সার এউপজেলায় নেই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, সারের সরকারি যে খুচরা মূল্য তার চেয়ে বেশি দাম নেওয়ার সুযোগ নেই। এর আগে সারের দাম বেশি নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সারের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যেমে জরিমানা করা হয়েছে। এধরনের অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।