নতুন বছরে বিশ্ববাজারে কৃষিপণ্যের সরবরাহ পড়বে ঝুঁকির মধ্যে
প্রকাশ : 2023-12-27 17:25:47১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
নতুন বছরে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিসহ কৃষিপণ্যের সরবরাহ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানান- নতুন বছরে কৃষিপণ্যের সরবরাহ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদেরা। কারণ বিশ্বজুড়ে এখনো সরবরাহ ঘাটতি ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি রয়েছে।
চলতি বছরে বিশ্বব্যাপী বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। ফলে দানাদার শস্য ও তেলবীজ চাষে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকেরা। তারপরও অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহ শঙ্কটের মুখে পড়বে। এর পেছনে শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশগুলোয় এল নিনোর প্রভাব, রফতানি নিষেধাজ্ঞা ও বায়োডিজেলের উচ্চ চাহিদাকে দায়ী করছেন তারা।
সিডনির কৃষি ব্রোকারেজ আইখন কমোডিটিসের উপদেষ্টা পরিষেবার পরিচালক ওলে হাউ বলেছেন, ‘চলতি বছরে শীর্ষ উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোয় ভালো ফলন হয়েছে। এতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো আমরা সরবরাহ ঘাটতির হুমকির মুখে আছি।’ এল নিনোর অন্তত এপ্রিল–মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে মনে করছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। ফলে শীর্ষ কৃষিপণ্য রফতানিকারক ও আমদানিকারক দেশগুলোয় চাল, গম, পাম অয়েলসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের সরবরাহ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
এ ছাড়া এশিয়া অঞ্চলে নতুন বছরে ধানের ফলনও কম হতে পারে। কারণ শুষ্ক আবহাওয়াজনিত কারণে এ অঞ্চলের জলাশয়গুলো শুকিয়ে আসছে। চলতি বছর এল নিনোর কারণে চালের উৎপাদন কমে যাবে। আর চালের উৎপাদন কমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যহত হয়েছে চালের সরবরাহ। এদিকে আবার বিশ্বের শীর্ষ চাল সরবরাহকারী দেশ ভারত আদমানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। সবমিলিয়ে সরবরাহ ঘাটতি পিছু ছাড়ছে না।
চাল ছাড়াও ভারতে অন্যান্য কৃষিপণ্যের উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়েছে। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আসন্ন বছরে গমের উৎপাদনও কমে যেতে পারে। এমনিতেই ভারতে গমের মজুত গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে, এর মধ্যে যদি উৎপাদন আরও কমে যায়, তাহলে ভারতকে ২০২৪ সালে অবধারিতভাবে গম আমদানির পথে হাঁটতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাব পড়বে অস্ট্রেলিয়াতেও। বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ গম রপ্তারিকারক এই দেশে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে গমের উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে কমে যেতে পারে। এসব কারণে নতুন বছরে বিশ্ববাজারে কৃষিপণ্যের সরবরাহ ঝুঁকিতে মধ্যে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
সা/ই