দ্বিপাক্ষিক সফর শুরু করতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শুরুতেই ভারত

প্রকাশ : 2024-01-15 17:29:34১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

দ্বিপাক্ষিক সফর শুরু করতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শুরুতেই ভারত

প্রতিবেশী ভারত দিয়েই নিজের দ্বিপাক্ষিক সফর শুরু করতে চান নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পরে সাংবাদিকদের তিনি নিজেই এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘স্পষ্টত আমরা চাইছি, আমার দ্বিপক্ষীয় সফর ভারত দিয়েই শুরু হবে। কিন্তু আমি বহুপাক্ষিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য উগান্ডায় যাচ্ছি ১৭ জানুয়ারি।'

তিনি বলেন, ‘আমাকে দিল্লি সফরের বিষয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা সময়টি দেখছি— কখন আমার জন্য এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকরের জন্য ফিজিবল হয়।’

নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত আমাদের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য সবসময় পাশে ছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচন নিয়েও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল, ভারতবর্ষ আমাদের পাশে ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনকেও বিতর্কিত করার এবং অনেক প্রশ্নের উত্থাপন করা হয়েছিল, ভারতবর্ষ আমাদের পাশে ছিল। এবারও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থানটা কী ছিল বা কী আছে।’

ভারতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা নিয়ে আলোচনা করেছি, সেটি হচ্ছে—সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ একটি নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছিল। যেমন, দেশের মধ্যে অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য চালানো হয়েছে। ৫ জানুয়ারি পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে একটি ট্রেনে পুরো পরিবারকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। স্পষ্টতই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এবং মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য এগুলো করা হয়েছে।’

নতুন সরকার গঠনের পর ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে প্রথমে ভারতের রাষ্ট্রদূতই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও আমরা নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষত আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা করেছি, বর্ডার হাটগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে ভারতীয় রুপি ও বাংলাদেশি টাকা বিনিময়ের মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা। এটি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং অল্প কিছু বাণিজ্য হয়েছে। কীভাবে আরও সম্প্রসারণ করা যায় এবং কীভাবে জনপ্রিয় করা যায় এবং সবার কাছে কীভাবে পরিচিত করা যায়, এটি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এটি হলে পরে ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা আমাদের কমবে, ভারতেরও কমবে এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে সেটি সহায়ক হবে।

এছাড়াও বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে ভারতের পণ্য পরিবহন নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের পণ্য ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলোতে নিয়ে যাওয়া- এটি অনেক পুরোনো দিনের ইস্যু এবং আমরা এটি নিয়ে অনেক দিন ধরে কাজ করছি। ইতোমধ্যে কিছু কাজ হয়েছে, কিন্তু সেটিকে যাতে আমরা আরও সম্প্রসারিত করতে পারি। সেগুলোর জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

 

সান