দু-একদিনের মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : 2023-11-14 16:35:15১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
আগামী দু-একদিনের মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১০ হাজারের বেশি অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ ধারণা দেন।
নির্বাচন কমিশন ভোটের তফসিল ঘোষণার আগ মুহুর্তে দেশজুড়ে ১৫৭টি প্রকল্পের অধীনে ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠমোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৯৭ হাজার কোটি টাকা।
শিগগিরই ভোটের তফসিল ঘোষণা হতে পারে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হয়ত দু–একদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ–সময় ঘোষণা দেবে। ৩০টা সিট যারা পেয়েছিল, তাদের তো নির্বাচনে আসার আকাঙ্খাই থাকবে না, নির্বাচন বানচাল করে একটা অস্বাভাবিক পরিবেশে সৃষ্টি করে আবার বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তি করা এটাই তাদের চেষ্টা।’
আদালতের রায় অনুযায়ী নির্বাচন ছাড়া কারও ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান সরকার প্রধান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে আগামী বুধবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে বিকেল ৫টার দিকে এই বৈঠক হবে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠকের পরপরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই ভাষণে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হতে পারে।
দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতার ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণের ভোটের ওপরেই তার একমাত্র ভরসা বলেও জানান তিনি।
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটেই বারবার নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আওয়ামী লীগ কোনোদিন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া কিন্তু সরকার গঠন করেনি। নির্বাচন হবে। জনগণ যদি নৌকায় ভোট দেয়, তাহলে আসব। আর না দিলে আমার কোনো আফসোস থাকবে না। কারণ, আমি তো দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় নিয়েই এসেছি।’
বিএনপির চলমান অবরোধ কর্মসূচির ফলে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরে ক্ষোভ জানান প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ মানুষকে এসব অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিহতের আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষ একটু শান্তিতে ছিল। স্বস্তিতে ছিল, উন্নয়নটা দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময়েই এই অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও–পোড়াও, বাসে আগুন দিয়ে, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা যেমন ব্যাহত করা হচ্ছে, স্কুল–কলেজের ছেলে মেয়েরা যেখানে ফাইনাল পরীক্ষা দেবে, পরীক্ষা দিতে পারছে না।’
কা/আ