দুই বাংলার ভালবাসায় জন্মদিন কাটছে জয়া আহসানের

প্রকাশ : 2024-07-01 14:57:28১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

দুই বাংলার ভালবাসায় জন্মদিন কাটছে জয়া আহসানের

দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। দেশের সিমানা ছাড়িয়ে ওপার বাংলাতেও জনপ্রিয় তিনি। বলিউডের সিনেমাতেও নাম লেখিয়েছেন তিনি। একদশকের বেশি সময় ধরে দেশের দর্শকের পাশাপাশি ভারতের দর্শকের মন জয় করেছেন তিনি। আজ (১ জুলাই) অভিনেত্রীর  জন্মদিন।

নিজের জন্মদিনে ভক্তদের বিশেষ উপহার দিলেন এই অভিনেত্রী। প্রকাশ করেছেন নতুন সিনেমা ‘ওসিডি’র ঝলক। সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা টিজারের ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘চাঁদের কলঙ্ক কি পরিষ্কার হয়? জীবনের কলঙ্ক? সমাজের কলঙ্ক? উত্তর নিয়ে আসছে #ওসিডি… এবার প্রাণপণে সরাবে জঞ্জাল!’

ওসিডি সিনেমার পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল। সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া। তার চরিত্রের নাম শ্বেতা। করোনাকালে লকডাউনের মধ্যে এই গল্পটি মাথায় আসে পরিচালকের। ওসিডি অর্থ অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজওর্ডার। এই সমস্যায় শ্বেতা ভুগছেন কিনা, সেই দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যাবে শ্বেতার চরিত্র। এটি মূলত একটি সাইকোলজিক্যাল ড্রামা।

১২৬ মিনিটের  ‘ওসিডি’তে আরও অভিনয় করেছেন কৌশিক সেন, ফজলুর রহমান বাবু, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রেয়া ভট্টাচার্য প্রমুখ। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন পূজা চট্টোপাধ্যায়। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন মেঘ বন্দ্যোপাধ্যায়।  

সৌকর্য ঘোষালের পরিচালনায় এর আগে ‘ভূতপরী’ সিনেমাতে অভিনয় করেছেন জয়া। 

জন্মদিনে জয়া আহসানকে নিয়ে কলকাতার নির্মাতা ও অভিনেতা অরিন্দম শীল আনন্দবাজার পত্রিকায় একটা লেখা লিখেছেন। সেখানে তিনি জয়ার কাজ নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'অনেকেই জানেন, এ পার বাংলায় জয়ার প্রথম ছবি (‘আবর্ত’) আমার পরিচালনায়। তাই আজ ওর জন্মদিন উপলক্ষে লিখতে বসে অনেক পুরনো কথা পর পর মনে পড়ছে। ...... ‘আবর্ত’ ছবির শেষ দিনের শুটিং। লোকেশনের ফ্ল্যাটটি আমার বন্ধু হর্ষ নেওটিয়ার। লাঞ্চ ব্রেকের পর কাজ শুরু হবে। হঠাৎ আমার একজন সহকারী এসে বললেন, ‘‘দাদা, জলদি আসুন। জয়াদি খুব কান্নাকাটি করছেন!’’ আমি ছুটে যেতেই দেখলাম, জয়ার দু’চোখ বেয়ে জল পড়ছে। করুণ মুখে বলল, ‘‘দাদা, বাবা আর নেই!’’ আমি সঙ্গে সঙ্গে ওকে ঢাকা ফিরে যেতে বললাম, কিন্তু জয়া আমাকে যা বলেছিল, আজও আমার স্পষ্ট মনে আছে। ও বলেছিল, ‘‘দাদা, আজকে শুটিং শেষ করতে না পারলে তো অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। আমি সিনটা করি।’’ আমি ওর কথা শুনে হতবাক। কী বলব, বুঝতে পারছি না, কিছু ক্ষণ চুপ থেকে আমি ওকে তা-ও কাজ করতে বারণ করেছিলাম। তৎক্ষণাৎ ওর ঢাকা ফেরার ব্যবস্থা করলাম। হর্ষকে জানাতেই ও বলল, বাড়িটা রাখাই থাকবে। সব কিছু মিটিয়ে জয়া কলকাতায় আসার পর আমরা ছবির শুটিং শেষ করেছিলাম। এই হচ্ছে জয়া আহসান।'



সা/ই