দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব আটকে রাখলে যেসব সমস্যা হয়
প্রকাশ : 2024-03-09 11:41:21১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বাসা-বাড়ির বাইরে বের হলে বা কোথাও জমিয়ে আড্ডা কিংবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা-মিটিংয়ের সময় প্রস্রাব আসলে চেপে রাখি অনেকে। এ স্বভাব প্রায় সবারই রয়েছে। কিন্তু প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাস একদমই ভালো নয়। এ থেকে ব্যাকটেরিয়ার দ্রুত বংশবৃদ্ধি হয়। যা থেকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হয়ে থাকে।
এছাড়া প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাস থেকে কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে শুরু করে শরীরের নানা রকম ভয়াবহ ক্ষতি হওয়ারও আশঙ্কা থেকে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট মেডিকেল নিউজ টুডে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এবার তাহলে সেখান থেকে জেনে নেয়া যাক।
প্রস্রাব আটকে রাখা থেকে শ্রোণিতল বা পেলভিক ফ্লোরের পেশিও দুর্বল হয়। এতে ভবিষ্যতে প্রস্রাব ধরে রাখা বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্যা হতে পারে। হাঁচি, কাশির সময় হঠাৎ করেই নিজের অজান্তে কিছুটা প্রস্রাব বের হতে পারে। আবার মূত্রত্যাগের প্রবণতাও বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখা থেকে কিডনিতে পাথর হওয়া ও জমার সম্ভাবনা থাকে। দীর্ঘ সময় প্রস্রাব না করলে মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ বের হতে পারে না। ফলে তা শরীরের ভেতরেই জমা শুরু করে। এ থেকে কিডনির মধ্যে বর্জ্য পদার্থ জমতে জমতে একসময় কঠিন হয়ে যায়। যা পাথর হয়ে থাকে। আর কিডনিতে পাথর হলে ব্যথা, সংক্রমণ বা রক্তপাতের মতো নানা সমস্যা হয়ে তাকে। পাথর বড় হলে অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।
দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখার কারণে মূত্রাশয় ফেটে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য কিডনি ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানের প্রয়োজন। একই সঙ্গে প্রস্রাব আসলে কালক্ষেপণ না করে প্রস্রাব করা উচিত।
প্রস্রাব চেপে রাখলে মূত্রাশয় প্রসারিত ও দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ, মূত্রাশয় পূর্ণ থাকার সময় একটি প্রসারিত হয়। আর মূত্র ত্যাগের পর মূত্রাশয় আবার সংকুচিত হতে থাকে। এ জন্য দীর্ঘসময় যদি কেউ প্রস্রাব চেপে রাখে, তাহলে মূত্রাশয় আর তার নিজের আকারে রূপান্তর হতে পারে না। আকাড়ে বড় হয়।