তেঁতুলিয়া সাবরেজিষ্টার অফিসে ঘূষ লেনদেন ওপেন

প্রকাশ : 2024-04-18 18:55:25১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

তেঁতুলিয়া সাবরেজিষ্টার অফিসে ঘূষ লেনদেন ওপেন

পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া সাবরেজিষ্টার অফিসে উৎকোচ আদায় এখন ওপেন সিক্রেট।অফিস সহকারি ও মোহরার পদে কর্মরত দুই কর্মচারীর দাপটে ভূমি মালিকরা অতিষ্ট। তাদের কারনে ভূমি মালিকরা জমি বেচাকেনা করতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের মূখে দিশেহারা। জমি রেজিষ্ট্রেশন বা নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সরকারের নির্ধারিত ফ্রির বাইরে দ্বিগুন ঘূষ দিতে হয় ভ’মি মালিকদের।

সাবরেজিষ্টার অফিসটিতে অফিস সহকারির (কেরানী) ঘূষ বানিজ্য তুঙ্গে। অফিসসহকারি বেগম রোকেয়া দলিল রেজিষ্টেশনের পর শেষ বেলায় তার অতিরিক্ত ঘূষের টাকা হিসেব করে নেন দলিল লেখকদের নিকট এমন অভিযোগ ওপেন সিক্রেট।তিনি সেখানে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকায় তার ঘূষ পেতে তেমন বেগ পেতে হয় না। অফিস সহকারির বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘীর টুনিরহাট এলাকায়। তিনি প্রায় তিনি অফিসে অনুপস্থিত থাকেন। যদি কোন কারনে জমি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকে ‘ তাহলে তিনি অফিস যান না। এ অভিযোগও ওপেন সিক্রেট।

সাবরেজিষ্টার দলিল স্বাক্ষরের পর সেটি তার হাতে যায়। এরপর তিনি জমির ক্রয়-বিক্রয়ের মোট টাকা লিখে রাখেন । এরপর অফিস শেষে তিনি তার নির্ধারিত অঙ্কের ঘূষের টাকা হাতে গুনে নেন। 

্এদিকে মোহরার দেলোওয়ার হোসেন তার হয়ে সহযোগী হয়ে দলিলের জবেদা নকল বা দলিল সরবরাহে সরকারি ফ্রির বাইরে শত শত টাকা হাতিয়ে নেন। বৃহষ্পতিবার অফিসে গিয়ে দেখা যায় লেনদেন ওপেন সিক্রেট। একজন কৃষকের নিকট দলিল নগদ ৩৫০ টাকা দাবি করেন। এ সময় ওই কৃষক উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তখন কৃষক রেগে গিয়ে ২৩০ টাকা দিয়ে চলে যান।

এছাড়া ভূমি মালিকদের নিকট টিপ ও নাম লিখতে গিয়েও দিতে হয় বাড়তি টাকা। একজন ভূমি মালিকের নিকট থেকে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা উৎকোচ নিতে দেখা যায়।মনসুর নামে এক ভূমি মালিকের নিকট নগদ ৫০০ টাকা নিতে দেখা যায়। এছাড়া কখনো কখনো অসঙ্গতিপূর্ণ কাগজপত্র থাকলে বেশি মাত্রায় উৎকোচ নেওয়া হয়।

ওই অফিসের কতিপয় কর্মচারি বলেন ‘ অফিস সহকারি ও দেলোওয়ার এক মাসের মধ্যে চলে যাবে বদলী হয়ে তাই কাউকে এখন তোয়াক্কা করেনা। 
দেবনগর ও শালবাহান এলাকার কয়েকজন নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন সাবরেজিষ্টার অফিস মানেই টাকা দাও। ওই টাকা সবাই খায় আমরা তো দেই না হলে নানা ভূলত্রুটি বের করে তখন দলিল ফিরিয়ে দেয়। কখনো ভায়া দলিল চায় আবার কখনো বলে এটা লাগবে ওটা লাগে। মানে ছুতা খুঁজে ‘ তোমরা বা কি করবেন।

এ বিষয়ে অফিস সহকারির সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি চুপ করে থাকেন। বলেন অফিসে হয়না। দেলোওয়ার হোসেন বলেন আমি তো সরকারের নির্ধারিত ফ্রি নেই।

এবিষয়ে সাবরেজিষ্টার সিরাজুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্শন করা হলে তিনি বলেন ‘ লিখিত অভিযোগ দেন ‘ তখন তাকে বলা হয় সাংবাদিক তো অভিযোগ নেয় ‘দেয়না। তখন তিনি বলেন যান কি লিখবেন লেখেন।