তিস্তার চরে স্বপ্নের বাদামী সোনা গোলায় তুলতে ব্যস্ত কাউনিয়ায় চাষিরা

প্রকাশ : 2025-06-23 17:53:52১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

তিস্তার চরে স্বপ্নের বাদামী সোনা গোলায় তুলতে ব্যস্ত কাউনিয়ায় চাষিরা

কাউনিয়ায় তিস্তার চর ও বিভিন্ন গ্রাম জুড়ে ব্যাপক বাদাম চাষ হয়েছে। বর্তমানে তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রামে শুরু হয়েছে বাদাম তোলা ও শুকানোর মহোৎসব। কৃষকরা বাদাম শুকানো ও বিক্রির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় বাম্পার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় বেজায় খুশি চাষিরা। 

সরেজমিনে উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, জমি থেকে বাদাম তুলে শুকানো ও বিক্রির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। হরিশ^র গ্রামের তিস্তার চরে বাদাম চাষ করা চাষি সোহরাব হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা গেছে, হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টির কারনে বাদাম নিয়ে সঙ্কায় ছিলেন, কিন্তু পরবর্তিতে আকাশ ভাল হওয়ায় সে সঙ্কা কেটে গেছে। সে বর্তমানে বাদাম শুকাতে ব্যস্ত। সে চলতি মৌসুমে তিস্তার চরে ২০ দোন (২৫ শতকে দোন) জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ১লাখ টাকা। তিনি আশা করছেন বাজারে মণ প্রতি ২৮শ থেকে ৩হাজার টাকা বিক্রি হলে তার প্রায় ১লাখ টাকা লাভ হবে। চরগনাই গ্রামের বাদাম চাষি দুদু মিয়া জানান চলতি মৌসুমে ৫০ দোন জমিতে বাদাম চাষ করেছেন, বর্তমানে বাদাম কাটামাড়াই চলছে, ফলনও ভাল হয়েছে। ভাল দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে তার আশা। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি খরিপ-১ মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৭০, চাষ হয়েছে ৮৭৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ১৮৭১ মেঃটন। চরে বেশির ভাগ বিনা-৪ বারি ৬-৮-৯ এর চাষ হয়েছে। তিস্তা নদীর ভাঙ্গাগড়ার খেলায় প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে টিকে থাকা মানুষগুলো চরের জমিতে বাদাম চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে, সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপনিবে এমনটাই আশা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানিয়া বাকতার জানান, স্থানীয় ভাবে উন্নত জাতের বাদাম বাড়ি ৮ ও ৯ এবং বিনা জাতের বাদাম গুলো আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং বাদামের গাছ গুলোতে পোকা মাকর আক্রমণ না করায় এবারে বাদামের ফলন ভালো হয়েছে। আমরা সব সময় কৃষকের সাথে যোগাযোগ রাখেছি কি ভাবে বাদামের চাষ ভালো করা যায়। এবিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে কৃষকরা বাদাম উত্তোলন করছেন এবং কেউ কেউ বীজ সংরক্ষণ করছেন।