তামাকের বিকল্প হিসেবে কাউনিয়ায় ২৭০ হেক্টর জমিতে গম চাষ
প্রকাশ : 2025-02-10 16:48:47১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

তিস্তার চরে এ বছরের চিত্রটা পাল্টে গেছে। ভারতের ছেরে দেয়া পানিতে পর পর দুই বার বন্যায় ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় চরাঞ্চলের চাষিরা ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে। বিগত দিনের মতো চাষিরা ঝুঁকেছেন গম চাষে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা গম চাষ করে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে গম চাষ করেছেন। আবাহাওয়া অনুকুলে থাকায় কৃষক বাম্পার ফলনের আশা করছে।
সরেজমিনে তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে কৃষকের সাথে কথা বলে জানাগেছে, কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে তাদের। তিস্তার নদীর জেগে উঠা চরে গম চাষের সমারোহ, চর জুড়ে শোভা পাচ্ছে সবুজ আর সোনালী গমের শিষ। তিস্তা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের গমের বেশী চাষ হয়েছে। অথচ কালের বিবর্তনের দিন দিন বিলুপ্তির পথে যেতে বসেছিল গম চাষ। একটা সময় ছিল যখন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক হারে গমের চাষ হতো। কিন্তু বর্তমানে কৃষক আলু আর ভুট্টা চাষের দিকে বেশি ঝুকেছে। উপজেলা কুষি বিভাগ জানায় চলতি বছরে কাউনিয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে গমের চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথা সময়ে কৃষকরা এবার গমের বাম্পার ফলন পাবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। উপজেলার একটি পৌর সভাসহ ছয়টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে তামাকের বিকল্প ফসল হিসেবে ২৭০ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৯৭৭ মেট্রিক টন। গদাই গ্রামের কৃষক শাহাজাহান, পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের আনারুল জানায় আগে তারা অধিক লাভের আশার তিস্তার চরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা গমসহ অনান্য ফসল চাষ করছে বর্তমানে আবাদের যে অবস্থা তাতে তারা বাম্পার ফলনের আশা করছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানিয়া আব্কার জানান চলতি মৌসুমে ২১০জন চাষিকে গম চাষে প্রনোদনা দেয়া হয়েছে। উপজেলায় ২৬০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, অর্জন হয়েছে ২৭০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে বারি ২৫, বারি ২৬ ও দেশী জাতের গম চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবাহাওয়া অনুকুলে থাকায় রোগবালাই তেমন হয় নি ফলে বাম্পার ফলন আশা করছি।