তলে তেলেসমাতি সবজিতে স্বস্তি চাউলে অস্বস্তি, দিশেহারা পঞ্চগড়ের মধ্য ও নিম্নবিত্তরা
প্রকাশ : 2025-02-02 18:21:27১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পঞ্চগড়ে সবজিতে স্বস্তি আসলেও অস্বস্তি চাউলে। সয়াবিন তেল নিয়ে তেলেসমাতি আসহায় ভোক্তা সাধারন।সবজি ভরা বাজারে গিয়ে ক্রেতা সাধারন স্বস্তি¡ পেলেও চাউল ও সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে অসহায়। চাউলের দাম আকাশছোঁয়া সয়াবিন তেল নিয়ে আছে তেলেসমাতি।
তবে মাছ মাংসের বাজারও চড়া। বাড়তি সোনালীর মুরগীর দামও। জাত ভেদে চাউলের দাম গড় দুই-তিনমাসে বেড়ে মধ্য ও নি¤œবিত্তদের ক্রয় সীমার বাইরে চলে গেছে। ৫০ কেজির বস্তায় বেড়েছে ৩ শত টাকা থেকে ৪শত টাকা।আঠাইশ জাতের চাউল এখন তিন হাজার একশত টাকা থেকে তিন হাজার দুইশত টাকা। অথচ এই চাউল ছিল দুই হাজার ছয়শত থেকে দুই হাজার সাতশত টাকা। গুঠি চাউল এখন দুই হাজার চারশত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পায়জাম হিসেবে পরিচিত চাউল দুই হাজার আটশত টাকা । তবে মোটা হিসেবে পরিচিত চাউলের সরবরাহ একেবারেই কম। পঞ্চগড় চাউল বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ি জানান, নতুন চাউলের দাম একটু কম। দাম কেনো বাড়ছে তা তিনি জানেন না। মিলারদের কাছ তারা বেশি দামে কিনে আনেন বলে জানান।
বাজারের খুচরা ব্যবসায়ি আজিজুল জানান ৫৮ টাকা কেজি দরে যে আঠাইশ চাউল বিক্রি করতো সেই ৫০ কেজির বস্তা এখন মানভেদে ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা। মিনিকেট হিসেবে পরিচিত প্রতিকেজি চাউল ৭৬ টাকা থেকে ৮০ টাকা।অপরদিকে সয়াবিন তেল নিয়ে পঞ্চগড় বাজারে চলছে তেলেসমাতি। গালামাল ব্যবসায়ি হাসিবুল ইসলাম বলেন ৮ কাটুন তেলের অর্ডার দিলে কোম্পানি তেল দেয় দুই কাটুন। এক গালামাল ব্যবসায়ি বলেন ‘ কি করবেন এক লাখ টাকার সয়াবিন নিলে কোম্পানি সাথে ডাল সহ অন্যান্য একলাখ টাকার পণ্য ধরিয়ে দেয়। তাই আমরা কি করবো ‘ কেউ সয়াবিন তেল নিলে আমরা ও ডাল সহ অন্য পণ্য দিয়ে দেই। তবে এক বা ৫০০ গ্রামের বেশি তেল দিচ্ছেনা পঞ্চগড় শহরের গালামাল ব্যবসায়িরা। তারা জানায় কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এদিকে গালামালগুলোতে ওপেন কোন বোতলজাত সয়াবিন ডিসপ্লেতে না ক্রেতার চাহিদার কারনে তারা তাদের দোকানের ভিতরে লুকিয়ে রাখছে। তবে অনেকে খোলা সযয়বিন তেল রাখলেও বেশির ভাগ ব্যবসায়ি রাখেনা। ডিমেরহালি ৪৪ টাকায় থেমে আছে। চিনি ১৪০ টাকা ও ডাল১১০-১৪০ টাকা কেজি।বাজারে ঘুরে অনেক ক্রেত্রা-ভোক্তাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন কোন সরকার আমাদের কথা ভাবেনা। সিন্ডিকেটের কারণে চাউল ডাল সহ নিত্যপন্যের দামও কমছেনা। এছাড়া বছরজুড়ে আলোচনায় আসা আলু পেয়াঁজ, কাচাঁমরিচের দামে একবারে হাতের নাগালে এসেছে। যে আলু ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হতো নেই আলু এখন ১৬-২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। পেয়াঁজ এখন ৪০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচ ২০-৩০ টাকা কেজি। শীতকালিন সবজির দাম একেবারে কম। মাত্র ১০ টাকায় ২ কেজি ওজনের ফুলকপি ওপাতা পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া মুলা শিম ১০-২০ টাকা কেজি।কমেছে সব ধরনের শাক’এর দাম। তবে কমছেনা মাছ মাংস ও মুরগীর দাম।