তরুণদের রাজনৈতিক দলকে অভিনন্দন, নির্বাচন পরিচালনায় তরুণদের প্রতিনিধিত্ব চাই
প্রকাশ : 2024-12-30 11:29:26১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
আগামী দুই মাসের মধ্যেই ঘোষণা হতে পারে বৈষম্যবিরোধী তরুণ-শিক্ষার্থী-জনতার নতুন রাজনৈতিক দল৷ এই তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দলকে স্বাগত জানাই। ৫২ ভাষা আন্দোলন বা ৬৯ এর আন্দোলন বা ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ বা ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর নূর হোসেন বুকে পিঠে "গণতন্ত্র মুক্তি পাক" স্লোগান লিখে নিহত, সর্ব ক্ষেত্রেয় তরুণ-যুবকদের অংশগ্রহণ অধিকহারে ছিল। সেখানে ৫০ উর্ধ্ব বুড়া ব্যক্তির অংশগ্রহণ কতটুকু তা আলোচনার বিষয়। এখন সময় এসেছে ৬০ বছরের উর্ধ্ব ব্যক্তিদের অবসরে পাঠানো। তারা ১৯৭১ সালের পর থেকে আমাদের দিয়েছে বিভেদের রাজনীতি, খুন, হত্যা, দুর্নীতি, লুটপাট, গুম-খুন আর প্রতিশোধের রাজনীতি। শেখ মুজিবের বাকশাল শাসন, শহিদ জিয়ার সামরিক আর হ্যাঁ না ভোটের শাসন, এরশাদের সামরিক শাসনের আড়ালে লুটপাট- লাম্পট্য, জোট সরকারে দুর্নীতি আর ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার হাসিনার চরম হত্যা, গুম-খুন, দুর্নীতি, লুটপাটের মহাউৎসব। আসুন ৬০ বছরের উর্ধ্ব ব্যক্তিদের অবসরে পাঠিয়ে তরুণদের হাতে তুলেদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব। ১৭ বছরের তরুণদের ভোটার করা হোক।
তাহলে তরুণরা একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করে, দলকে নেতৃত্ব দিয়ে, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে, যথাস্থানে যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পৌঁছাতে পারবে। কোন কেউ প্রধানমন্ত্রী হয়ে মন্ত্রীপরিষদ গঠন এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ্যব্যক্তি নিয়োগ দিতে পারবে। তাহলে প্রশ্ন হলো “প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২” প্রণয়ন ও পাশ করা ব্যক্তিগণ কেন মনে করলেন ৫০ বছর ও উর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তিই একমাত্র যোগ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ বা সার্চ করার? বর্তমান “প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২” এ উল্লেখ আছে, সার্চ কমিটির সদস্য হতে হলে ‘বয়স ন্যূনতম ৫০ বছর হতে হবে’। অর্থাৎ এই আইনানুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের সার্চ কমিটির সদস্য বয়স ন্যূনতম ৫০ বছর হলে যোগ্য আর তার নিম্ন বয়স হলে যোগ্য নয়। এই আইন নিয়ে যত আলোচনা হয়েছে, কোথাও এই বয়স সীমা নিয়ে কেউ আলোচনা করেননি। বর্তমানে যারা আইন প্রণয়ন করছেন, রাজনীতির নেতা বা সচিব-আমলা তাদের প্রায় সকলের বয়স ৫০ উর্ধ্ব, তাই হয়ত উনারা ‘বয়স ন্যূনতম ৫০ বছরে বিশ্বাস রেখেছেন এবং প্রাজ্ঞ বলে বিবেচিত মনে করেছেন। কারণ বয়স, সময়, যুগ, প্রজন্ম এবং চিন্তার পার্থক্য।
৩১শে ডিসেম্বর ২০২৪ জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ‘নতুন বাংলাদেশের’ ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, এই ঘোষণাপত্রে আগামীর বাংলাদেশের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। ৩১ ডিসেম্বর জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ‘নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে’ বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলতি বছরের শেষ দিন, ৩১শে ডিসেম্বর বেলা তিনটায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই ঘোষণাকে সামনে রেখে রোববার দুপুরে বাংলামোটরে নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন। এরইমধ্যে থানা পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে৷ তবে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই দুটি পক্ষই অরাজনৈতিক ফোরাম হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবে৷ রাজনৈতিক দলটি নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করবে৷ চাইলে ওই দুইটি ফোরাম থেকে যে কেউ নতুন দলে যোগ দিতে পারবেন এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্ররা৷
বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট মাসে শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন৷ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা হাসিনা সরকারেরর পতনের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়৷ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা এই সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আগামী দুই-এক মাসের মধ্যেই ছাত্র-জনতার নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করা হবে বলে জানান৷ ডয়চে ভেলেকে শনিবার তিনি বলেন, ‘‘গণঅভ্যুত্থানের যে স্বতঃস্ফূর্ত শক্তি ছিলো সেটাকে আমরা অর্গানাইজ করছি৷ আর সেই লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে আমরা এখন পর্যন্ত ১০০টি থানা কমিটি দিয়েছি৷ আশা করি, আগামী মাসের ১৫-২০ দিনের মধ্যে সব থানা কমিটি হয়ে যাবে৷ এরপর আমরা ছাত্রদের কাছে এটা পেশ করব৷ তারাই সিদ্ধান্ত নেবে, কত দিনের মধ্যে তারা কাজটি (দল গঠনের) করতে পারবে৷’’ ‘‘আমাদের সাথে বিপ্লবী, সিভিল সোসাইটি এবং পলিটিক্যাল তিন ধরনের লোক আছেন৷ যারা রাজনীতি করতে চান তারা অবশ্যই যদি নতুন রাজনৈতিক দল তাদের পছন্দ হয় সেখানে তারা যোগ দিতে পারবেন,'' বলেন পাটওয়ারী৷
বছরের পর বছর, ভারত অনেক ধুমধাম করে আগষ্টে ‘আজাদী’ উদযাপন করে, আর একই দিনে, বাংলাদেশ ব্যস্ত ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুতে শোক পালনে। আর এখন ২০২৪ সাল থেকে তার কন্যা স্বৈরাচার হাসিনার পলাতক দিবস পালন করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে শেখ মুজিবের সময়কালে বাংলাদেশে দুর্নীতির শুরু। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে অল্প সময়ের মধ্যে, বাস্তবতাগুলি সামনে আসে। দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পতন শুরু হয়। বাংলাদেশে তখন যা বিরাজ করছিল, তা স্বাধীনতা যুদ্ধে কষ্টার্জিত বিজয়ের চেতনাকে ম্লান করেছিল। স্বাধীনতা-উত্তর, বাংলাদেশের নেতৃত্ব বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। আইন-শৃঙ্খলা অবক্ষয় হতে থাকে।
এই সময়ের মধ্যে মুজিব তার রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি দেশের রাষ্ট্রপতির পদে নতুন করে শপথ নেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেছিলেন যে, দেশে বিশৃঙ্খলা বন্ধ করার জন্য রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের প্রয়োজন। এক ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে, মুজিব ৭ জুন ১৯৭৫ এ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং দেশের স্বাধীন সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করার পর বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে এবং বাকশালের সভাপতি পদে নিযুক্ত হন। তা আমলাতন্ত্র, শিক্ষিত এবং সুশীল সমাজের মধ্যে বৈরিতা সৃষ্টি করেছিল এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। ব্যাপক দুর্নীতি শুরু হয়। তার সাথে দেশে খাদ্য ঘাটতি পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছিল। বাংলাদেশে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। শিল্প, বীমা এবং ব্যাঙ্কগুলির জাতীয়করণ কোন ফলাফল বা বাস্তব সুবিধা হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। দুর্নীতি, অসদাচরণ এবং জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠন "অভূতপূর্ব" পর্যায়ে পৌঁছেছিল। সেনাবাহিনীর তরুণ অফিসার সহ অনেকে মনে করেছিলেন যে এর জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দায়ী।
শেখ মুজিব তার শাসন আমলে বাংলাদেশে “পারিবারিক রাজবংশ” তৈরি করেছিলেন। শেখ মুজিবের একমাত্র ভাই, শেখ আবদুল নাসের, ১৯৭২ সালের দারিদ্র্যের অবস্থান থেকে ১৯৭৫ সালে খুলনা জেলার বৃহত্তম ঠিকাদার হয়ে উঠেন। মুজিবের বোনের স্বামী, এ.টি.এম. সৈয়দ হোসেন, যিনি ১৯৭০ সালে সচিবালয়ে শুধুমাত্র একজন সেকশন অফিসার ছিলেন, তিনি ১৯৭২ সালে যুগ্ম সচিব হন এবং তিন বছর পরে, সংস্থাপন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হন। মুজিবের আরেক বোনের স্বামী আবদুর রব সেরনিয়াবাতকে মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী করা হয়। শেখ ফজলুল হক মনি, শেখ মুজিবের বোনের ছেলে, যিনি সাধারণত "জাতির ভাগ্নে" নামে পরিচিত ছিল, স্বাধীনতার আগে একজন সংবাদপত্রের সাংবাদিকের পদ থেকে বাংলাদেশ টাইমসের সম্পাদক এবং জাতীয় যুবদলের (যুবলীগ) প্রধান হন। ২৪ বছর বয়সে, মুজিবের চতুর্থ বোনের ছেলে শেখ শহীদুল ইসলামকে ১৯৭৫ সালের সরকারে মন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়েছিল। মুজিবের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল বেশ কয়েকটি দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন। মুজিবের দ্বিতীয় ভাগ্নে, শেখ শহীদুল ইসলাম, যাকে ছাত্রলীগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
মর্মান্তিক ঘটনায় শেখ মুজিবের স্বপরিবারে হত্যার পর, শহীদ লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ও সাবেক সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, দুই সামরিক কর্তৃত্ববাদী শাসন দেড় দশক ধরে দেশ চালায়। যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আধিপত্যশীল মূল্যবোধকে ব্যবহার করে সামরিক শক্তিকে সুসংহত করার জন্য ইসলামীকরণকে অন্তর্ভুক্ত করে। সেই সময়ে বেসামরিক ও সামরিক আমলাতন্ত্র, দেশে আরও খারাপ ব্যবস্থা গড়ে তোলে, যা দুর্নীতির বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
২০০১-২০০৬ সময়কালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতৃত্বাধীন চার-দলীয় জোট সরকারের সময়েও দুর্নীতি হয়েছিল। খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে সিমেন্স। এর ফলে মার্কিন বিচার বিভাগ ৮ জানুয়ারি ২০০৯ সালে সিমেন্সের সাথে আরাফাত রহমান কোকোকে দেওয়া ঘুষের সাথে সম্পর্কিত প্রায় তিন মিলিয়ন ডলার মূল্যের অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার মামলা দায়ের করে। যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সহযোগী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ঘুষ ও মানি লন্ডারিং কার্যক্রমের তদন্ত করে। বলা হয়, তারেক ও মামুন সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তির জন্য নির্মাণ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের পরিচালক ও চীনের হারবিন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে সাত লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ নিয়েছেন।
২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ আসনে জিতে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর থেকে হাসিনা জালিয়াতির নির্বাচন, বিরোধীদের দমন, অনিয়ম আর দুর্নীতি, আমলা আর প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে টিকে থাকতে চেয়েছিল। ১৫ বছরে বেশিরভাগ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছিল এবং 'একনায়কতান্ত্রিক' সরকারে পরিণত হয়েছিল। বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ শত শত নেতাকর্মীকে গুম করা, মামলা বা সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল। বিরোধী গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিরুদ্ধ মত দমন করা হয়েছিল কঠোর ভাবে। গত পনেরো বছর ধরে সামাজিক মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিব বিরোধী বক্তব্য পোস্ট করার জের ধরে মামলা ও গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই দমনের জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো আইন করা হয়। হাসিনার সরকার একটা ভয়ের সংস্কৃতি এবং সরকার ও পুলিশ বাহিনী মিলে পুরো দেশকে একটা 'মাফিয়া স্টেট' তৈরি করেছিল। এসবের জন্য প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হয়েছে। এরপর গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায় 'মাফিয়া স্টেট' কান্ডারী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ মুক্ত হয় অভিশপ্ত পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি ও দুর্নীতি থেকে।
বর্তমান বাংলাদেশের জনসংখ্যার বয়স-ভিত্তিক বণ্টন : ০-১৪ বছর : ৩০.৮% , ১৫-৪৯ বছর : ৫৩.৭% , ৫০-৫৯ বছর : ৮.২%, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে : ৮.১% (সূত্রঃ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো)। সে হিসাবে ১৭-৪৯ বয়স সীমা জনসংখ্যা আনুমানিক ৫০.৭% । তাই ৫০.৭% জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্বকে ভোটার করতে হবে। তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে সার্চ কমিটিতে বা জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায়। ৫০-৫৯ বছর : ৮.২%, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে : ৮.১% অর্থাৎ ১৬.৩% বুড়া জনগোষ্ঠি প্রতিনিধিত্ব আর আমরা চাই না। আমরা চাই ১৭-৪৯ বয়স সীমা জনসংখ্যা আনুমানিক ৫০.৭% জনগোষ্ঠি নির্ধারণ করবেন বা গুরুত্ব ভূমিকা রাখবেন জাতীয় নির্বাচনে, সরকারী ও বিরোধী দল নির্বাচনে, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল নেতা নির্বাচনে। পরিশেষে ২০৩১ সালে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে, রূপকল্প-২০৪১ এর আলোকে ‘উন্নত বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কমিটিতে চাই যোগ্যতা সম্পন্ন ১৭-৪৯ বয়স সীমার আনুমানিক ৫০.৭% জনসংখ্যার তরুণ প্রতিনিধিত্ব।
লেখকঃ অভিজিৎ বড়ুয়া অভি
কথা সাহিত্যিক, কবি, গবেষক ও প্রাবন্ধিক