ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি
প্রকাশ : 2023-07-17 11:01:40১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে। এ সময় পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। নারী ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রগুলোর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল
৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা টানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বর্তমান নির্বাচন কমিশন তার মেয়াদে সকল উপনির্বাচন ইভিএমে করলেও ঢাকা-১৭ আসনের ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্যালটে।
সকালে ভোট শুরুর পর টিএন্ডটি আদর্শ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, পুরুষ ভোটারদের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি। ভোটকেন্দ্রের চারপাশে পোস্টার, ফেস্টুনে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা তাবাসসুম জান্নাত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে এসেছি। ব্যালট পেপারে ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে। পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছি। আশা করছি পছন্দের প্রার্থী জিতবেন।’
বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে। কেন্দ্রটি শুধু নারী ভোটারদের হওয়ায় কেন্দ্রের বাইরে নারীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ভোটার সুমনা আক্তার বলেন, ‘ভোট দিতে এসে খুব ভালো লেগেছে। ভোট সুন্দর হচ্ছে, ভিড় কম থাকায় সহজেই ভোট দিতে পেরেছি।’
বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শফি মাহমুদ ‘ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ভোটারদের খুব ভিড় হয়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে।’
তিনি বলেন, এ কেন্দ্রে ভোটাররা কোনও ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিতে পারছেন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন তার মেয়াদে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনগুলো ইভিএমে করলেও ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন হবে ব্যালটে। তবে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের ভোটকক্ষগুলোতে সিসি ক্যামেরা থাকবে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনের ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০। ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৬০৫টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন আট জন। তাদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম) এবং মো. তারিকুল ইসলাম।