ডাসারে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশ : 2025-01-21 18:42:37১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ডাসারে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ডি.কে.আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কুল ও কলেজ শাখা থেকে আলাদাভাবে সম্মানি ভাতা গ্রহন, ক্লাসরুমে প্রাইভেট পড়ানো এবং একই কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত একজন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থেকে বেতন উত্তোলন ও ১২জন শিক্ষক কোয়ার্টারে বসবাস করে ভাড়া পরিশোধ না করাসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে তাদের এ অনিয়মের অভিযোগ সাধারন জনগনের মাঝে জানাজানি হলে টক অপ দ্য উপজেলায় পরিনত হয়েছে। অপরদিকে অভিযুক্ত ওই সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এছাড়াও রয়েছে অনিয়মের ব্যাপক অভিযোগ। তবে শিক্ষকদের প্রতিযোগিতামূলক অনিয়মের কারনে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পরেছে বলে দাবী করেছেন স্থানীয় শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।  

জানা গেছে, উপজেলার ডি.কে.আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান কলেজ শাখা থেকে বেতনের সাথে সম্মানি ভাতা বাবত ১৫ শত টাকা প্রতিমাসে গ্রহণ করেন এবং একই প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখা থেকেও তিনি মাসে পঁচিশ শত টাকা গ্রহণ করেন। এবং তিনি ক্লাস চলাকালীন সময়ে কলেজের ক্লাস রুম ব্যবহার করে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছেন। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক অধ্যক্ষ দীর্ঘদিন কলেজে উপস্থিত না হয়েও বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। এছাড়া ওই কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, শিক্ষক মাহতাব হোসেন, ফায়জুল্লাহ, মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ রবিউল আলম, ফরহাদ হোসেন, দৌলাতুন নেছা, উমা দাস, মোঃ ওসমান গনিসহ ১২জন শিক্ষক বেতনের সাথে বাসা ভাড়ার টাকা গ্রহণ করলেও দীর্ঘ  মাস প্রতিষ্ঠানের কোয়ার্টারে বসবাস করে ভাড়া না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাইট গার্ড পদে নিয়োগপ্রাপ্ত আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যক্তি তার ডিউটি সে নিজে না করে তার পরিবর্তে ডিউটি করান অন্য একজনকে দিয়ে। এদিকে তাদের এ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সাধারন জনগনের মাঝে জানাজানি হলে টক অপ দ্য উপজেলায় পরিনত হয়েছে। অপরদিকে অভিযুক্ত ওই সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি না থাকায় বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। যে কারনে দিনদিন কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থী। তাই আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাই।

নৈশপ্রহরী আয়নাল বলেন, আমি নাইটগার্ড পদে চাকুরি করি।

শিক্ষক মাহতাব হোসেন বলেন, আমরা কোয়াটারের কারেন্ট ও পানির বিল পরিশোধ করে আসছি। 

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান বলেন, এই কলেজে সভাপতি ডিসি স্যার। তাই বক্তব্য প্রয়োজন হলে তার বক্তব্য আপনারা নিয়ে নিয়েন। 

এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার বলেন, কলেজের বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের বিষয় গুলো আমার জানা নেই। তবে আমি খোজ নিয়ে জানতেছি।