ট্রেন মিস, মাছের জন্য আদমদীঘির ইউএনও’র গাড়ির দীর্ঘ অপেক্ষা
প্রকাশ : 2024-05-24 20:11:07১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
সময়মত স্টেশনে না পৌঁছার কারনে মিস হয়ে গেছে ট্রেন। ফলে নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে অপর ট্রেন সান্তাহার স্টেশনে আসার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয় আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি গাড়ি ও তার চালককে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে। গাড়ির চালক নাজমুল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজের জন্য কে বা কারা খুলনা থেকে চিংড়ি মাছ পাঠায় খুলনা টু চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস নামক আন্তঃনগর ট্রেনে। কিন্তু ইউএনও’র গাড়ি ও চালক সময়মত সান্তাহার জংশন স্টেশনে উপস্থিত না থাকার কারনে মাছগুলো চলে যায় ট্রেনটির গন্তব্য চিলাহাটিতে। এরপর যোগাযোগ করা হয় মাছ বহনকারির সাথে। তিনি খুলনাগামী রুপসা এক্সপ্রেস নামক আন্তঃনগর ট্রেনে মাছগুলো সান্তাহার স্টেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ি ও চালক ফের সান্তাহার স্টেশনে আসে। কিন্তু বিধিবাম, বেলা ১০টা ২০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ের ট্রেনটি দুই ঘন্টা বিলম্বে দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে সান্তাহার স্টেশনে পৌঁছে। একারনে এই দীর্ঘ সময় ধরে স্টেশনে প্রবেশ পথের রেলওয়ে রিলেলক সুইচ কেবিনের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এঘটনায় ওই স্থানে থাকা ব্যক্তিরা মন্তব্য করেন এটা ক্ষমতার অপব্যববহার। আদমদীঘি থেকে সান্তাহার দুইবার এবং সান্তাহার থেকে আদমদীঘি দুইবার, মোট চারবার প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ যাতায়াতে সরকারি জ্বালানী অপচয় না করে একজন পিওন মাধ্যমেও এই কাজটি করানো যেত। এবিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ইউএনও রুমানা আফরোজ, ট্রেনে মাছ আসার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, গাড়ি এবং চালক সরকারি কাজে সেখানে নিয়োজিত ছিল। তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলার মধ্যে একটি স্থানে একজন ইউএনও’র গাড়ি সরকারি প্রয়োজনে ১০বারও যাওয়া আসা করতে পারে। এক্ষেত্রে সঠিক বিষয় না জেনে সাধারণ মানুষের বিরুপ মন্তব্য কারো কাম্য নয়।