ট্রাম্পের সমালোচনা করে সেই পথেই হাঁটলেন বাইডেন, তীব্র সমালোচনা

প্রকাশ : 2023-10-07 11:04:27১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ট্রাম্পের সমালোচনা করে সেই পথেই হাঁটলেন বাইডেন, তীব্র সমালোচনা

মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ আটকাতে সীমান্তেই প্রাচীর তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে তখন জো বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টি কড়া সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু এবার রিপাবলিকান নেতার পথেই হেঁটে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী আলেজান্দ্রো মায়োরকাস জানান, ‘দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে প্রাচীর তৈরির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তের রিও গ্র্যান্ডে ভ্যালি এলাকায় প্রাচীর নির্মাণ শুরু হবে। এই কাজে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেছে হোয়াইট হাউজ।’ 

জানা গেছে, চলতি বছরে এই পথ দিয়েই প্রায় আড়াই লাখ মানুষ অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা করেছিলেন। ২০১৭ সালে তত্কালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তোলা হবে। তার  লক্ষ্য ছিল মেক্সিকো থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের আটকানো। ২০১৯ সালে সেই লক্ষ্যে তিনি শুরু করেছিলেন শরণার্থী হটাও অভিযান। প্রাচীর সংক্রান্ত বিলে স্বাক্ষর করায় সে সময়ে সীমান্তে আটকে পড়েন বহু মানুষ। যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। ২০২১ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্পের নীতি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেন জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজের পক্ষে সে সময় প্রবেশ সংক্রান্ত নিয়মে ছাড় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মার্কিন ভূখণ্ডে আসতে শুরু করেছিলেন শরণার্থীরা। এবার সেই প্রতিশ্রুতিই ভঙ্গ করলেন বাইডেন।

সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর বাইডেন নিজ দল এবং বিরোধী দল উভয় দিক থেকেই আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। কারণ এই ডেমোক্র্যাটরা এতদিন এই দেওয়ালের তীব্র বিরোধী ছিল। আর রিপাবলিকানরা বাইডেনকে ‘ভণ্ড’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন। বাদ যাচ্ছে না মানবাধিকার সংগঠনগুলোও। তারা এতদিন দেওয়াল ইস্যুতে ডেমোক্রেট সমর্থন দিচ্ছিল। কিন্তু হঠাত্ করেই একদম উলটো পথে হাঁটতে শুরু করলেন বাইডেন।

বাইডেনকে আক্রমণ করতে ভোলেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমিই ঠিক ছিলাম। জো বাইডেন কি এখন আমার এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবেন! বাইডেনকে টার্গেট করতে বাদ যায়নি ডেমোক্রেটরাও। কংগ্রেসম্যান হেনরি কুয়েলার বিবিসিকে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে তার ভোটাররা এই ঘোষণায় খুশি হবেন। একবিংশ শতাব্দীর সমস্যার জন্য আমি এখনো ১৪ শতকের একটি সমাধানের বিরুদ্ধে। আমি সীমান্তে আরো সেনা সদস্য ও প্রযুক্তি দেখতে চাই। ডেমোক্রেট দলের আরেক কংগ্রেস সদস্য আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ এটিকে একটি ‘নিষ্ঠুর নীতি’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বাইডেনকে আবারও উলটো পথে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।  অন্যদিকে, বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত যে আগামী বছর আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের অস্বস্তিতে ফেলবে তা মনে করছেন বিশ্লেষকরা —ফক্স নিউজ ও রয়টার্স