টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে
প্রকাশ : 2024-02-13 16:31:37১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, কুতুবদিয়ার চরাঞ্চল থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি ঘর ২০২১ সালের মধ্যে আমরা আলোকিত করেছি। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, কুতুবদিয়ার চরাঞ্চল থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। সোলারে হোক বা গ্রিড কানেক্টিভিটিতে হোক—সেই জায়গায় আমরা পৌঁছে গেছি। বিদ্যুতের সঙ্গে আরেকটি বড় উদাহরণ দিতে চাই। বিশেষ করে সোলার হোম সিস্টেমে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন চ্যাম্পিয়ন। প্রায় ৫০-৫২ লাখ ঘরে আমাদের সোলার বাতি কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এফোর্ডিবিলিটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে আমরা বিদ্যুৎকে এফোর্ডেবল করতে পারে, কীভাবে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারি, কীভাবে বিদ্যুৎকে আমরা রিলায়েবল রাখতে পারি—এই তিনটি জিনিসকে মাথায় রেখে আমরা আবার একটা রিভিউ মাস্টারপ্ল্যান করেছি, যেখানে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে। মহাপরিকল্পনা নিয়েছি গ্যাস ক্ষেত্রে। গ্যাসের অনুসন্ধান বাড়ানোর জন্য আমরা ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। ইতোমধ্যে পাঁচটি গ্যাসফিল্ড, বিশেষ করে ভোলায়, শাহাজাদপুরে, ইলিশায় নতুনভাবে গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে। সেখানকার গ্যাস বরিশাল পর্যন্ত নিয়ে কীভাবে পটুয়াখালীসহ যশোরে সংযোগ দেবো, যশোরের সঙ্গে রংপুরের গ্যাস পাইপলাইনে কীভাবে আমরা সংযোগ করবো তারও ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
নসরুল হামিদ বলেন, ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে শরীয়তপুর, মাদারীপুর অংশে গ্যাসলাইন নিয়ে বরিশালের সঙ্গে সংযোগ করবো। অর্থাৎ মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বৃহত্তর ফরিদপুরে যেসব শিল্প এলাকা আছে সেখানে যেন আমরা গ্যাসের সংযোগ দিতে পারি তারও আমরা ব্যবস্থা করছি। নতুন করে প্রায় ৪২ ইঞ্চি দুটি পাইপলাইন চিটাগাং থেকে তৈরি হচ্ছে, যাতে ঢাকায় যে গ্যাসের অভাব দেখা গেছে সেটি আমরা সম্পন্ন করতে পারি।
তিনি বলেন, গভীর সমুদ্রে গ্যাস আহরণের জন্য এ বছর নতুন করে যে পিএসসি চুক্তি করেছি—সেটার সূত্র ধরে আমরা এখন টেন্ডারে যাবো।
সান