টুঙ্গিপাড়ার খোকা
প্রকাশ : 2022-09-20 13:01:41১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
টুঙ্গিপাড়ার খোকা
মোঃ জয়নাল আবেদীন
টুঙ্গিপাড়ার খোকা
দেয়নি কাউকে ধোকা,
চোখে দেখতেন একটু কম
কিন্তু ছিলেন অন্যায়ের যম।
কলকাতা গিয়ে চিকিৎসা শেষে
খোকা ফিরেন নিজ দেশে।
আবার স্কুলে হন ভর্তি
মনে আনন্দ আর ফূর্তি।
পড়াশোনা আর ফুটবল খেলেন নিত্য
আনন্দ উল্লাসে ভরে ওঠে তার চিত্ত।
স্কুলে আসেন দু’ মন্ত্রী
শেরে বাংলা আর সোহরাওয়ার্দী।
বাংলায় মূখ্যমন্ত্রী তখন ফজলুল হক শেরে বাংলা
একটি চক্র তার জণসভায় করতে চায় হামলা।
এ খবর পেয়ে খোকা দেয় হুংকার
কে করবে হামলা? এস সামনে আমার।
গোপালগঞ্জে এত বড় সাহস কার?
খোকার সাহস আর রণমূর্তি দেখে
মাথা নিচু করে হাতের লাঠি ফেলে
একে একে সব হামলাকারী যায় চলে।
গোপালগঞ্জ সফর শেষে
মন্ত্রীদ্বয় ফিরবেন কলকাতা।
খোকা দু’ হাত আগলে
মন্ত্রীদের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়
কারো সাধ্য নেই তাকে এতটুকু নড়ায়।
খোকা উচ্চস্বরে বলে ছাত্রাবাস দেখে যেতে হবে
চলে গেলে আপনারা গোপালগঞ্জে আর আসবেন কবে?
খোকার কান্ড দেখে হেডোমাস্টার পায় ভয়
কীজানি মন্ত্রীরা রেগে গিয়ে কিনা কি কয়।
খোকার সাহসে মন্ত্রীদ্বয় অখুশি নয়।
ছাত্রাবাস দেখে যেতে সম্মত হয়-
ছাত্রাবাস দেখিয়ে খোকা মন্ত্রীদের বলে
বৃষ্টি হলে চাল দিয়ে পড়ে পানি
ভিজে যায় বই-খাতা আর ছাত্রদের শরীরখানি।
চাই টাকা আর বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি এবং তা এখনই
ছাত্রাবাস মেরামতের জন্য
মন্ত্রীরা দিয়ে যান টাকার মঞ্জুরি।
সাহসী এ খোকা-ই আমাদের জাতির পিতা
আন্দোলন সংগ্রাম করে হয়েছিলেন জনতার মিতা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কৃতি থাকবে তার অম্লান ও চির বহমান খরস্রোতা নদীর মতো
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।