টাকা খেয়ে খারাপ লোকের নাম কেন্দ্রে পাঠাবেন না

প্রকাশ : 2021-10-04 14:33:20১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

টাকা খেয়ে খারাপ লোকের নাম কেন্দ্রে পাঠাবেন না

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য মানুষের নাম পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, টাকা খেয়ে খারাপ লোকের নাম কেন্দ্রে পাঠাবেন না। এমন অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে প্রয়াত সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন স্মরণে আয়োজিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এমন আহ্বান জানান তিনি।জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করতে হবে, নিজের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নয় এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকেই ক্ষমতা পেয়ে বেপরোয়া হয়ে যায়, যা মোটেই কাম্য নয়। ক্ষমতার অপব্যবহার না করতেও দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে দেন তিনি।

রাজনীতিতে ভালো মানুষদের সঙ্গে রাখার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খারাপ মানুষ দিয়ে রাজনীতি করলে দল নষ্ট হয়ে যাবে। দুঃসময়ে বসন্তের কোকিলরা দলে থাকবে না, ত্যাগীরাই সুখে-দুঃখে দলের পাশে থাকবে,- তাই সৎ ও ভালো মানুষদের দলে টানারও নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।

৭৫ এর পর দেশে যে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু হয়েছিলো তার রেশ এখনো রয়ে গেছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ৭৫'র হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত ছিলো? কে নেপথ্যে ছিলো? সেই ইতিহাস সবাই জানে- যা কখনো ভুলে যাওয়ার নয়। তিনি বলেন, জিয়া যেমন ৭৫'র হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের নায়ক ছিলেন, তেমনি ২১ আগস্টে তারেক রহমান ছিলেন মাস্টার্স মাইন্ড।

৭৫ ও ২১ আগস্ট ঘটনায় পারস্পরিক সম্পর্কের দেয়াল আরও উঁচুতে নিয়ে গেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, জিয়াউর রহমান দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছিলেন আর বিএনপি এখনো তা অব্যাহত রেখেছে।

গণতন্ত্রের যে কর্মসম্পর্ক তা নষ্ট করে দিয়েছে বিএনপি, এমনটা মনে করে ওবায়দুল কাদের দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, একাধিকবারের একজন প্রধানমন্ত্রীর কয়টা জন্মদিন থাকতে পারে? এটা কি প্রতিহিংসা নয়?

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুভূতিতে খোঁচা দিতে বেগম জিয়া এই ভুয়া জন্মদিন পালন করেন বলেও মনে করেন তিনি। প্রতিহিংসার রাজনীতিতে কিভাবে সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখবো এমন প্রশ্নও রাখেন ওবায়দুল কাদের।

বর্তমানে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক কর্ম-সম্পর্কের বিষয়টি অনুপস্থিত, কিন্তু কেনো? এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষের রাজনীতি পরিহার করা আমাদের এখন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

প্রয়াত হাসিবুর রহমান স্বপনকে সফল রাজনীতিবিদ আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন নির্লোভ নিরহংকার নেতা ও জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ছিলেন স্বপন। তিনি হাসিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান।

শাহজাদপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম। স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম তালুকদার, সংসদ সদস্য ডাক্তার হাবিবে মিল্লাত মুন্না, তানভীর শাকিল জয়, ডাক্তার আবদুল আজিজ, তানভীর ইমাম, আবদুল মমিন মন্ডল ও শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।