ঝালকাঠিতে ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকান লুটের চেষ্টা, ধাওয়া খেয়ে পালালো দুর্বৃত্তরা
প্রকাশ : 2025-03-10 10:41:04১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

ঝালকাঠি শহরে পিকআপে চড়ে এসে একদল দুর্বৃত্ত ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির চেষ্টা করেছে। এ সময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলিও ছুড়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। রবিবার (০৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারের সময় শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঝালকাঠি শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় শতাধিক সোনার দোকান রয়েছে। রবিবার ইফতারের সময় পিকআপে করে আসা একদল দুর্বৃত্ত ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লুটের চেষ্টা করে। এতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এ সময় দুর্বৃত্তদের পাল্টা ধাওয়া দেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটাতে ঘটাতে পিকআপে করে শহরের সাধনার মোড় ও ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ইফতারের সময় শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় নীল রঙের পিকআপে চড়ে চার থেকে পাঁচ জন যুবক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কয়েকটি স্বর্ণের দোকানে লুটের চেষ্টা করে। এ সময় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ তাদের ধাওয়া দেন। দুর্বৃত্তরা এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে; ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পালানোর সময় ওই পিকআপ থেকে পথে পথে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। যেসব জায়গায় ককেটলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে সেসব জায়গায় কয়েকজন করে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ষাটপাকিয়া এলাকায় লোকজন দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। তখনও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা বরিশালের দিকে চলে যায়।
যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা ঢাপঢ় পুলিশ লাইনসের সামনে ও বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কের ষাইটপাকিয়া এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এতে ডাক্তারপট্টির মাহমুদুল হোসেন, ঝালকাঠি জেলা পুলিশ লাইনসের সামনে পুলিশ সদস্য জুয়েল মিয়া, পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সারোয়ার হোসেন মোল্লা, ষাটপাকিয়া এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল আজহারুল ইসলাম ও অজ্ঞাতপরিচয় এক শিশু আহত হন।
বিমল কর্মকার নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলেন, সন্ধ্যায় ইফতারের মুহূর্তে ডাক্তারপট্টি এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত পিকআপে করে এসে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে প্রথমে মা কালী জুয়েলার্সে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। তবে স্থানীয় লোকজনের প্রতিরোধের মুখে তারা ষাটপাকিয়া হয়ে বরিশালের দিকে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে একটি ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় শাহাদাৎ বলেন, এটা ডাকাতির চেষ্টার কোনও ঘটনা নয়। এটা সম্পূর্ণ পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাজ। তারা শান্ত ঝালকাঠি শহরকে অশান্ত করার পাঁয়তারার চেষ্টা করছে।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এটি ডাকাতি নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা। এটি সরকারের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। যাতে জনমনে ভীতি সৃষ্টি হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
কা/আ