জামদানি নিয়ে যত বেশি ফিউশন হবে ততোই বিশ্বে এর চাহিদা বাড়বে

প্রকাশ : 2024-12-05 14:17:30১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

জামদানি নিয়ে যত বেশি ফিউশন হবে ততোই বিশ্বে এর চাহিদা বাড়বে

জামদানির মতো ঐতিহ্যবাহী শাড়িকে ফিউশন করে অভিনেত্রী জয়া আহসান যেমন প্রশংসিত হয়েছেন। তেমনি সামলাতে হচ্ছে নিন্দার ঝড়ও। 

জয়া মনে করেন, বাংলাদেশের জামদানি নিয়ে যত বেশি ফিউশন হবে ততোই বিশ্বে এর চাহিদা বাড়বে। আর চলমান সমালোচনাকে তিনি গায়েই মাখছেন না! বরং ভবিষ্যতে জামদানি নিয়ে আরও বেশি বেশি ফিউশন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অভিনেত্রী বলেন, ‘অস্কার বা বড় কোনও আয়োজনে সবাই যেমন কাপড় পরে আমি তার চেয়ে ভিন্নকিছু পরতে চেয়েছিলাম। সবাই কালো নয়তো সাদা বা এমন কোনও রঙ পরে কিন্তু আমাদের দেশের রঙ তো ভীষণ কালারফুল। আমি দেশীয় কিছুই পরতে চেয়েছিলাম এবং সেটা অবশ্যই কালারফুল। সেক্ষেত্রে জামদানির চেয়ে তো আর ভালো কিছু হয় না। আমি জামদানির ফিউশনে খুবই সাড়া পেয়েছি, বিশেষকরে বোম্বেতে। সবাই খুবই প্রশংসা করেছিলো।’

পোশাক নিয়ে বেশি নিরীক্ষা করতে চাননি জয়া। তিনি বলেন, ‘শাড়িটা থ্রেড থেকে উপহার পেয়েছিলাম। এত অল্প সময়ে কীভাবে ফিউশন করা যায় ভাবছিলাম। তখন আমি কাঁথা ফোড়ের একটা জ্যাকেট দিয়ে পেয়ার আপ  করলাম। এই কম্বিনেশনটা তৈরি করেছেন ঋষভ নামে একজন ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট।’

অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি ইচ্ছে করেই এমন ফিউশন বেছে নিয়েছিলেন। জয়ার জামদানি ফিউশন যেমন অনেক প্রশংসা পেয়েছে, দেখা গেছে এর বিপরীত চিত্রও। অনেকেই জামদানির এমন উপস্থাপনা পছন্দ করেননি। যেটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। অনেকেই বলছে, জামদানির ১২টা বাজিয়েছেন জয়া! সেটাও কানে গেছে জয়ার।

জয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার যদি ফিউশন করে খেতে পারি, যেমন পিঠা বা মাছ তো আমরা ফিউশন করে খাই। তাহলে আমাদের দেশের কস্টিউম কেন ফিউশন করে পরতে পারবো না? কেউ তো দাসখত দেয়নি যে, জামদানি এভাবে পরা যাবে না, ওভাবে পরা যাবে না। জামদানি যদি স্কার্ট হয়, জ্যাকেট হয় তাহলে এভাবে পরলে সমস্যা কোথায়। আমরা যত ফিউশন করবো ততো বাইরের দেশের কাছে উপস্থাপন করতে পারবো। এটার চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। এসব ভেবেই আমি জামদানির এই ফিউশন করেছি। দেখুন, কয়েক বছর আগেও জামদানির এতটা চাহিদা ছিল না। কিন্তু এখন জামদানির এত চাহিদা যে, মনে হয় এটা শুধু একটি শাড়ি নয়, এটা অলঙ্কারের মতো। একটা মেয়ে চায়, তার ঘরে একটা সুন্দর, দামি জামদানি থাকুক।’

অভিনেত্রী আরও বলেন,  'এই লুকটারও একটা বিষয় ছিল। পুরানে যেসব মেয়েরা যুদ্ধ করতো, তাদের যে লুক সেই লুকেই আমি সেজেছিলাম এবং সেটা ইচ্ছে করেই। এমনকি পরিচালক সুজয় ঘোষও আমার লুকের প্রশংসা করেছিলেন।’

 

সা/ই