জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পুরো বক্তব্য বিএনপির অন্তর্গত: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : 2021-05-25 16:59:48১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পুরো বক্তব্য বিএনপির অন্তর্গত: তথ্যমন্ত্রী

১৯৭১ সালে পাকিস্তান নিরীহ বাঙালিদের ওপরে ঝাপিয়ে পড়ে যেভাবে হত্যা করেছে, সেজন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক  ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ক্ষমা চাইতে বলছি। কিন্তু গতকাল (সোমবার) ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দিতে।’ এ ধরনের বক্তব্য কোনোভাবে কাম্য নয়। এই পুরো  বক্তব্য বিএনপির অন্তর্গত।’’

মঙ্গলবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত প্রয়াত দেশ বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সারাহ বেগম কবরীর স্মরণে  এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘‘আমরা দাবি জানাচ্ছি, পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইবে। কিন্তু জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলছেন, ‘পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দিতে।’ এই পুরো বক্তব্যটা বিএনপির অন্তর্গত। এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।’’

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইবে। ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির সঙ্গে পাকিস্তান যে অন্যায় করেছে, সে অন্যায়ের জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতির ওপর বিভিন্নভাবে আঘাত আসছে। আমরা যেন আমাদের দ্বি-জাতি সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে না দেই। আমাদের সংস্কৃতি লালন করি এবং ঊর্ধ্বে তুলে ধরি। অনেক সময় দেখা যায়, রবীন্দ্র সংগীত ব্যান্ডের গানের তালে বাজানো হয়। এই মিশ্র সংস্কৃতি থেকে আমাদের বাঙালির সংস্কৃতিকে উদ্ধার করতে হবে, লালন করতে হবে। বাঙালিরা ধনী না হতে পারে, তবে সংস্কৃতির দিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে একটি ধনী জাতি।’

কবরীকে স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আজীবন বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে বুকে ধারণ করেছেন কবরী। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত হয়ে এমপি হয়েছেন। এত স্বল্প সময় চলে যাবেন ভাবতে পারিনি। তিনি একজন কর্মঠ ব্যক্তি ছিলেন। কবরী শুধু একজন অভিনয় শিল্পী ছিলেন না, আওয়ামী লীগের একজন দক্ষ কর্মীও ছিলেন। সারাজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেছেন।’

বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।